রংপুর সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেক এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি পেরিয়ে চলাচল করতে হয় নগরবাসীকে। এ ছাড়া বেশ কিছু এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ নির্মাণে জনগণের সুবিধার চেয়ে অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ১৬৪ কিলোমিটার। অথচ কাঁচাপাকা মিলিয়ে মোট সড়ক রয়েছে ১৪০০ কিলোমিটারের ওপরে। সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও আট ভাগের এক ভাগ সড়কের পাশে নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। নগরীর সাবেক পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে মোটামুটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও বর্ধিত ১৮টি ওয়ার্ডের ৭০/৮০ ভাগ এলাকায় নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায় ওইসব এলাকা।
নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তমপাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এটি দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এই সড়কের পাশে রয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। অথচ উত্তমপাড়া এলাকায় মহাসড়কের পাশে ড্রেন নেই। ওই এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় বড় কোম্পানি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। কিন্তু রাস্তার পাশে ড্র্রেন না থাকায় কাদাপানি মাড়িয়েই চলতে হচ্ছে। নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের দাওছাপাড়াসহ অধিকাংশ পাড়া-মহল্লায় পানি বের হওয়ার ড্রেনেজ নেই। পানি বের হতে না পারায় বর্ষায় সব সময় পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। মহব্বত খাঁ এলাকা নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এ ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ওই এলাকার সিরাজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এলাকা যুগ যুগ ধরে বঞ্চনার শিকার। এক যুগ আগে সিটি করপোরেশন হওয়ার পর আমরা আনন্দিত হয়েছিলাম; কিন্তু দীর্ঘদিনেও এর কোনো উন্নতি হয়নি। বর্ষা মৌসুুমে পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় আমাদের।