ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বরিশাল নগরীর চৌমাথা লেকের পাড়ে ভেঙে ফেলা সাহান আরা পার্কের পাশে নির্মিত দ্বিতল গোলচত্বর। গোলচত্বরের নিচতলা চলে গেছে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের দখলে। ঝুঁকি নিয়ে চত্বরের নিচতলায় বই বিক্রির দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ খাবার বিক্রি হয়। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের মধ্যে নগরীর চৌমাথা লেকের পাড়ে ২০২২ সালে নিজের মায়ের নামে সাহান আরা পার্ক নির্মাণ করেন তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে সিটি করপোরেশনের প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয় করে পার্ক নির্মাণ করে। পার্কটি ৫ আগস্টের পর ভাঙচুর করা হয়। এরপর মহাসড়ক থেকে পার্কটি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সিটি করপোরেশন ও সড়ক বিভাগ একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে পার্কের স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজাদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি ঝুঁকিপূর্ণ পার্কের নিচতলায় পুরোনো বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এ ছাড়া কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা খাবার বিক্রি করছেন।
বই বিক্রেতা আজাদ চৌধুরী জানান, এটা অপসারণ না করায় এখানে বই বিক্রি করেন। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারাও এসে বিভিন্ন খাবার বিক্রি করেন। বিকালবেলা অনেক মানুষ আসেন এ চত্বরে। সিঁড়ি ভেঙে ফেলায় দোতলায় ওঠা যায় না।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পার্কের পাশের এই ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাটি মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থাপনাটির পিলারসহ গুরুত্ব কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। যার ফলে যে কোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থাপনাটিসহ পার্ক অপসারণ করা উচিত। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, স্থাপনাটি তৈরি করেছে সিটি করপোরেশন। তাই তাদেরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা তাদের এটি সরিয়ে নিতে বলেছি। বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, স্থাপনাগুলো সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।