রংপুরের তিন উপজেলায় পশুবাহিত রোগ অ্যানথ্রাক্স মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। পীরগাছার পর মিঠাপুকুর ও কাউনিয়া উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগী পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বিশেষজ্ঞরা জেলার পীরগাছার আটজন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকসহ ঢাকা থেকে আইইডিসিআর’র একটি প্রতিনিধি দল পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় উপসর্গ থাকা আটজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে জানা যাবে কতজনের দেহে অ্যানথ্রাক্স রয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গাউসুল আজিম চৌধুরী।
এর আগে, আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধিদল গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছা সদর এবং পারুল ইউনিয়নের অ্যানথাক্সের উপসর্গ থাকা ১২ নারী-পুরুষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেন। এর মধ্যে আটজনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন বলে পরিবার অভিযোগ করেন। একই সময়ে অ্যানথ্রাক্স রোগে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে অর্ধশত ব্যক্তি আক্রান্ত হন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ গরু মাংসের নমুনা পরীক্ষা করে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করেছিল প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেনি, কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন এ রকম ২০ জন রোগীর তথ্য আছে বলে জানান পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহাম্মদ তানভীর হাসনাত।
রংপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন রুহুল আমিন বলেন, শুধু পীরগাছা নয়, পরবর্তী সময়ে কাউনিয়া ও মিঠাপুকুরেও একই ধরনের উপসর্গের রোগী দেখা গেছে। ইতিমধ্যে আরও আট রোগীর নমুনা আইইসিডিআরে পাঠানো হয়েছে। সেটার রিপোর্ট (প্রতিবেদন) এখনো আসেনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই