থামছেই না মব সন্ত্রাস। গত মাসেই গণপিটুনিতে আরও অন্তত ২৪ জনের প্রাণ গেছে। কমছে না খুন, ধর্ষণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু। উল্টো আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে এসে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বেড়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে এমন চিত্র সামনে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসেও খাল-বিল, ঝোপঝাড় থেকে ৫২ জন অজ্ঞাতনামার লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ সংখ্যাটি আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। গত মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ২। বিক্ষোভ দমনের নামে দুটি ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে সেপ্টেম্বরে চারজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। একই কারণে আগস্টে মৃত্যু হয়েছিল একজনের, আহত হয়েছিল একজন। হত্যার শিকার হয়েছে ৮৩ নারী, যা আগের মাসের চেয়ে আটজন বেশি। গত মাসে ৫৩ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে অন্তত তিনজনকে। অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়া হয়েছে দুই নারীর শরীর। তেমন কোনো রাজনৈতিক সভাসমাবেশ না থাকলেও সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ গেছে সাতজনের। গণপিটুনিতে মারা গেছে ২৪ জন, আহত হয়েছে আরও ৩৬ জন। এমএসএফের তথ্য বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশন যখন বিগত ফ্যাসিবাদ আমলের গুমের ঘটনাগুলো তদন্তে ব্যস্ত, সেই মুহূর্তে গত এক মাসে আরও অন্তত ১৪ জন অপহরণ ও নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। আগের মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৭। গত মাসে ১৩ মাজারে হামলা-ভাঙচুর ঘটে। মন্দিরে প্রতিমা ভাচুরের ঘটনা ঘটে ২৯টি। জাতিগত ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ১২টি। দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হয়েছে চারজন। সাংবাদিকের ওপর হামলা-হুমকি-হয়রানি ঘটেছে ৬৩টি। বিএসএফ কর্তৃক ১০৭ জনকে পুশইনের ঘটনা ঘটেছে। ৫৮ জনকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। তবে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড কমেছে। আগস্টে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটে পাঁচটি, গত মাসে এ সংখ্যা ছিল ১।