বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে টেকনাফের দুটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির পরিচালক সাজেদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ঘাট থেকে বেশ কিছু মাঝিমাল্লা ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এ ধরনের ঘটনায় জেলেদের মাঝে ভয়ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারের সহযোগিতা এখন অত্যন্ত জরুরি।”
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ৫টি ট্রলারের ৪০ মাঝিমাল্লাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তাদের মধ্যে একটি ট্রলারের ১৭ জেলে কৌশলে পালিয়ে আসেন। বিভিন্ন সময়ে ধরে নেওয়া অপহৃতদের মধ্যে এখনও ১১৪ জেলে বন্দি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “আরও দুটি ট্রলারসহ ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।”
স্থানীয় জেলে নুর কালাম জানান, কায়ুকখালী ঘাটের আবুল কালাম ও সৈয়দ আলমের মালিকানাধীন দুটি ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে গেলে ধাওয়া করে ১৪ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এতে আতঙ্ক বেড়েছে জেলেদের মধ্যে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩১৪ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে মার্চ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ২০০ জন অপহৃত হন। বিজিবির সহায়তায় কয়েক দফায় প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা হলেও এখনও ১১৪ জেলে জিম্মি রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক