ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গফুর ভান্ডারীর বাড়িতে স্ত্রীর হাতে স্বামী হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে খালেদা নামে এক নারী তার স্বামী মো. আলমগীরকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে খালেদাকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, ২০০২ সালে খালেদা ও আলমগীরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর আগে আলমগীর আরেকটি বিয়ে করেছিলেন, যা বিচ্ছেদে শেষ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে রয়েছে।
খালেদার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালে আলমগীর আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর থেকে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। খালেদার অভিযোগ, আলমগীর সংসারের খরচ বহন করতেন না এবং প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। দীর্ঘদিনের নির্যাতন ও মানসিক চাপে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটান।
দাগনভূঞা থানা পুলিশ জানিয়েছে, খালেদাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার কারণ ও পটভূমি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই