ভোলার আলোচিত মারিয়া আক্তার মিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাকিবকে (১৮) সাত মাস পর ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ও র্যাব-৪ সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে। পরে ভোলা মডেল থানার এসআই মো. ফাইজুল হকের নেতৃত্বে তাকে ভোলায় সদর মডেল থানায় আনা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোলা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মারিয়ার সঙ্গে রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এতে মারিয়ার পরিবার বাধা দিলে গত ১৯ মার্চ রাকিব তাকে স্কুলে যাওয়ার সময় তুলে নিয়ে যায় এবং পরে বিয়ে করে সংসার পাতে। ২৬ আগস্ট গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মারিয়াকে ভোলা হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। কিন্তু মারিয়া মারা গেলে ২৭ আগস্ট রাকিবের নানা সিরাজ একটি অ্যাম্বুলেন্সে তার মৃতদেহ মারিয়ার বাড়ির উঠানে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
মারিয়ার বাবা মনির হোসেন বাদি হয়ে রাকিবসহ ৬ জনকে আসামী করে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৩২১/২০২৫)। অন্যান্য আসামিরা হলেন মো. সিরাজ (৫৫), মাকসুদুর রহমান (৩৫), মো. ফিরোজ (৪০), নুরুল ইসলাম (৫০) এবং বিবি হাজেরা (৪৫)।
মারিয়ার বাবা মনির হোসেন অভিযোগ করেন, সাত মাস আগে আমার নবম শ্রেণির মেয়েকে রাকিব স্কুলের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। শেষ পর্যন্ত ২৭ আগস্ট তার লাশ পেলাম। খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
ভোলা থানার ওসি হাসনাইন পরভেজ জানান, আসামি রাকিবকে আদালত জেল হাজতে পাঠিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল