বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দুর্গোৎসব শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি এখন দেশের সংস্কৃতিরও অংশ হয়ে গেছে। এ উৎসব যেভাবে বলা হয় সার্বজনীন, আসলে সেটি কেবল সার্বজনীন না। বরং আমাদের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সংবিধান অনুযায়ী দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। সোমবার রাতে নগরীর জেএমসেন হলে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতৃবৃন্দক সাথে নিয়ে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সীমানায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতি ও ইতিহাস নির্বিশেষে সবাই সংবিধান অনুযায়ী সমান নাগরিক। তাই সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। যদি সংবিধান আপনাকে সমান অধিকার দেয়, তাহলে সংখ্যালঘু ধারণা সাংঘর্ষিক। এটা হতে পারে না। আমাদের সকলকে এটি মাথায় রাখতে হবে।
দলের নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার” এটি কোনো পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট নয়, বরং দলের নীতি ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বলা হয়েছে। একইভাবে “ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা সবার” এটিও পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট নয়, বরং নীতি নৈতিকতা থেকে বলা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পাহাড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা আয়োজন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেই অবস্থাতেই থাকি না কেন, কারও নাগরিক অধিকার হরণ করার অধিকার আমাদের নেই। সংবিধান সকলকে সমান অধিকার দিয়েছে, কারো বেশি বা কম নয়। দেশ পরিচালনায় ও দৈনন্দিন জীবনেও এটি মাথায় রাখতে হবে। এর আগে তিনি শুলক বহর ওয়ার্ডের ২ নম্বর গেইট আদর্শ পাড়া মুরাদপুর মন্দির, লালখান বাজার হাইওয়ে মোড় পূজা মন্ডপ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হাসপাতালের পাশে লোকসেড গেট পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিখিল কুমার নাথের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, শফিকুর রহমান স্বপন, শাহ আলম, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, জাফর আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন নাহিদ, যুগ্ম আহবায়ক রিফাত হোসেন শাকিল, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, বেসরকারী কারা পরিদর্শক উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল