ভারতের উত্তরাখন্ডে একটি নদী থেকে ৩৬ বছর বয়সী সাংবাদিক রাজীব প্রতাপের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজীব ‘দিল্লি উত্তরাখন্ড লাইভ’ নামের একটি ইউটিউব নিউজ চ্যানেল পরিচালনা করতেন এবং নিয়মিত দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রচার করতেন।
পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, রাজীবের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়; তিনি হত্যা হয়েছেন। রাজীবের স্ত্রী মুসকান জানিয়েছেন, ১৯ সেপ্টেম্বর রাজীবের গাড়ি ভাগীরথী নদীর কাছে পাওয়া গেছে। ৯ দিন পর তার মরদেহ নদীর ভাটিতে যোশিয়ারা জলবিদ্যুৎ বাঁধ থেকে উদ্ধার করা হয়।
মুসকান বলেন, “তিনি একটি হাসপাতাল ও একটি স্কুল নিয়ে প্রতিবেদন করার পর হুমকির মুখে ছিলেন। অনেকে ফোন করে ভিডিও সরিয়ে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। রাত ১১:৫০ মিনিটে পাঠানো মেসেজও ডেলিভারি হয়নি। তাকে কেউ অপহরণ করেছে। তিনি রাস্তা থেকে পড়ে মারা যাননি।”
রাজীবের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রতিবেদনের মধ্যে একটি হাসপাতালের মদ্যপান ও অব্যবস্থাপনার বিষয়টি ছিল।
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছে।
সাংবাদিক সংগঠনগুলোও এই হত্যাকাণ্ডের জরুরি তদন্ত দাবি করেছে। এর মধ্যে আছে দ্য ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব জার্নালিস্টস, দ্য দিল্লি ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস, কেরালা ইউনিয়ন অব ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস (দিল্লি ইউনিট)।
কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস-এর ভারত প্রতিনিধি কুনাল মজুমদার বলেছেন, পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, রাজীব গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তবে তাকে দেওয়া হুমকির কড়া তদন্ত করা উচিত। যারা সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছে, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক