ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের আন্তঃসীমান্ত ও সমুদ্রপথে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। শুক্রবার এই আহ্বান জানানো হয়।
একই সঙ্গে সদস্য দেশগুলোকে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নবায়নের একটি প্রস্তাবে আলোচনাকালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
এর পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিষদ ‘অবকাঠামো ও বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা বন্ধসহ’ এই ধরনের সমস্ত পদক্ষেপ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
এই প্রস্তাব ১৩-০ ভোটে গৃহীত হয়েছে। অবশ্য, স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া এই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত ছিল।
নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা ১৪ নভেম্বর, ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রায় ১০ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। এদের বেশিরভাগই হুথি বিদ্রোহীদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাদের সম্পদ জব্দ ও ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর পাশাপাশি পুরো দলটিকেও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
এই প্রস্তাবে নিষেধাজ্ঞা এমন ব্যক্তিদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যারা ইয়েমেনি ভূখণ্ড থেকে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আক্রমণ করে অথবা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়।
প্রস্তাবে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ‘লক্ষ্যবস্তুভুক্ত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য স্থল ও সমুদ্রপথে অস্ত্র ও উপকরণ পাচার রোধে প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করতে’ বলা হয়েছে।
ইয়েমেনের দুর্গম উত্তর থেকে আসা হুথিরা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজধানী সানাসহ দেশের বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
২০১৫ সালের গোড়ার দিকে সৌদি নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের হামলা তাদের উৎখাত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে সংঘাত আরব উপদ্বীপের দরিদ্রতম দেশ ইয়েমেনকে একটি বড় মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
বিদ্রোহীরা প্রায়শই লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের ওপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েল ও লোহিত সাগরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে। তাদের দাবি, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। সূত্র:আনাদোলু এজেন্সি, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ