জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা -৩ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। শনিবার দুপুরে নিজের নির্বাচনী এলাকা ভোলার লালমোহন উপজেলায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘জনগণ ১৭ বছর ধরে ভোট দেওয়ার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে সেজন্য অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরকারের অন্যায় সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছি। গণভোটে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ভোটারের জন্য অনেক কঠিন। একইদিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে স্বাগত জানাই। এতে সরকারের বহু টাকা সাশ্রয় হবে।’
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদে গণভোটসহ অনেক কিছুই ছিল না, তারপরও সরকার আমাদের ওপর জুলাই সনদ চাপিয়ে দিয়েছে। জনগণ জুলাই সনদ ও পি আর সম্পর্কে কিছু বোঝে না। এই সরকার তারপরও জুলাই সনদে গণভোট রেখেছেন। এটি একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যদি কেউ বয়কট করবে করতে পারে। বিএনপি এবং মেজরিটি পার্টি যাদের সমর্থন আছে তারা করবে। তবে আমরা চাই, যারা মাফিয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছে তারা যেন সংকটকালে একমত হতে পারে। এই ঐক্যটা যেন আমাদের মধ্যে থাকে, তা হলে ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব।’
নির্বাচন হওয়া প্রসঙ্গে মেজর হাফিজ বলেন, ‘লোকজন ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তবে আশঙ্কার বিসয় হচ্ছে, শেখ হাসিনা ভারত থেকে গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়ে বাস পোড়াচ্ছ, গোপালগঞ্জ থেকে লোকজন দিয়ে পদ্মাসেতুর দুই প্রান্ত জড়ো করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলাদেশ জনগণ আর ভারতের আধিপত্য মেনে নেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি বাংলাদেশের জনগণ আমার দল বিএনপিকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তা হলে আমরা একটি নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অবলম্বন করব। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নয়ন করবো। দেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করব। দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করব।’
বিএনপি জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে যেই সব বিষয়ে স্বাক্ষর করেছি সেগুলোই আমরা মেনে নিব। নতুন কোনো দাবি যদি অন্য কোনো দলের মাধ্যমে দেওয়া হয় সেগুলো আমরা মানব না। বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে। তারা দেড় বছরে তেমন কোনো উন্নয়ন করতে পারে নাই। তারা যদি শুধু নির্বাচনটা সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে করতে পারে তাহলেই আমরা কৃতার্থ হব। একটি রাজনৈতিক দলের সরকার না হলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয় না। এই দেড় বছরে কোনো বিদেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশ হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ঘোরতর অবনতি হয়েছে। ভারত থেকে শেখ হাসিনা সন্ত্রাসীদেরকে পাঠায়, তারা এসে গুলি করে নিরিহ মানুষকে হত্যা করে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুলসহ স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক