রংপুরের পীরগঞ্জে কৃষকের ৬ বিঘা জমির আমন ধানে বিষাক্ত ঘাসনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে হায়দার আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রুহুল আমিন শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করলে পুলিশ হায়দারকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের হরিরাম সাহাপুরের কৃষক রুহুল আমিন পার্শ্ববর্তী রায়তি সাদুল্লাপুর ও পালানু সাহাপুর গ্রামে একত্রে ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেন। ধানগুলো প্রায় কাটার উপযোগী হয়ে আসছে। ওই কৃষকের সাথে বিরোধ থাকায় গত ৭ নভেম্বর রাতে পালানু সাহাপুরের হায়দার আলী (৫০), তার দুই ছেলে মামুন মিয়া (২০) ও মাসুদ মিয়াসহ (১৮) কয়েকজন জমিতে বিষাক্ত ঘাস মারা ওষুধ স্প্রে করে। এ সময় কয়েকজন স্বাক্ষী তাদের চিনে ফেলে। পরে ঘটনা প্রকাশ করলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়।
ওই ঘটনায় কৃষক রুহুল আমিন উল্লেখিদেরকে আসামি করে মামলা করেছেন। এর আগেও ওই ব্যক্তিরা দুই বার জমির ধান কর্তন এবং পুড়িয়ে দেয়। একপর্যায়ে গ্রাম্য শালিসে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে হায়দার আলী তার দোষ স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে পার পায়। আবারও হায়দারের নেতৃত্বে ধান পোড়ানো হয়।
মামলার বাদি রুহুল আমিন বলেন, গত ২ বছর ধরে চিহ্নিতরা আমার উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করায় আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এক বছরের আবাদ আমার নষ্ট হলো।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার পর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক