সাইবার অপরাধ দমনে জাতীয় অভিযানের অংশ হিসেবে বিদেশি অপরাধীদের ঠেকাতে ভিসা যাচাই-বাছাই আরও কঠোর করেছে থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ব্যুরো।
সংস্থাটির মুখপাত্র পুলিশ কর্মকর্তা চেয়ংরন রিম্পাদি গতকাল শুক্রবার ব্যাংকক পোস্টকে জানান, প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল, জাতীয় পুলিশপ্রধান কিত্থারাত পুনপেচ—দুজনেরই নির্দেশনায় এই কড়াকড়ি চালু করা হয়েছে।
ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমিগ্রেশন ব্যুরোর প্রধান পুলিশ লেফটেন্যান্ট জেনারেল পানুমাস বুনিয়ালুগ গত বুধবার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে বিদেশিদের ভিসামুক্ত প্রবেশ-সুবিধার অপব্যবহার রোধে নীতি বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।
থাই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, পর্যটনের অজুহাতে বারবার দেশটিতে প্রবেশ ও প্রস্থানকারী বিদেশিদের এখন থেকে আরও কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা চেয়ংরন রিম্পাদি বলেন, অনেকেই ভিসামুক্ত প্রবেশ-নীতিকে, এক প্রবেশে সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকার সুযোগ, ‘ভিসা রান’-এর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। ভিসা শেষ হওয়ার আগেই সীমান্ত পার হয়ে আবার দেশে ফিরে এসে প্রবেশাধিকার নতুন করার বিষয়টি এতদিন খুব সহজেই করা যেত।
পাতায়া, ফুকেট, হুয়া হিনের মতো প্রবাসী-ঘন এলাকায় নিকটবর্তী সীমান্তে নিয়ে যাওয়া ‘প্যাকেজ ট্রিপের’ বড় ব্যবসা গড়ে উঠেছে। সেখানে গিয়ে দ্রুত ভিসা-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়া যায়। অনেক প্রবাসী এভাবে বারবার পর্যটক ভিসা নবায়ন করে বহু বছর ধরে দেশটিতে আছেন।
এভাবে সহজ পুনঃপ্রবেশ-ব্যবস্থা অপরাধ চক্রের জন্যও ফাঁকফোকর তৈরি করেছে। কেউ অনলাইন প্রতারণা, কেউ অর্থ পাচার, কেউ চালাচ্ছে অনুমতিহীন ব্যবসা—এসব কার্যক্রমে জড়ানোর সুযোগও মিলেছে।
এই ফাঁক বন্ধে বিমানবন্দর ও স্থলসীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টগুলো এখন থেকে কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া দুবারের বেশি ভিসা রান করা যাত্রীদের প্রবেশে বাধা দেবে।
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৯০০ জনকে ভিসা সুবিধার অপব্যবহারের কারণে থাইল্যান্ডে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।
সোর্স: ব্যাংকক পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/আশিক