ভোলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে শাজাহান মীর, মো. আলী ও অপুর্ব পাটোয়ারী নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীর ভবানীপুর চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে কাচিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে প্রভাবশালী একটি চক্র অবৈধভাবে বালু তুলছে। এতে কাচিয়ার মাঝের চরসহ আশপাশের এলাকা তীব্র নদীভাঙনের মুখে পড়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে সহস্রাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে একটি ড্রেজারের মাধ্যমে আবারও বালু তোলা হচ্ছে দেখতে পেয়ে ভাঙনকবলিত এলাকার শতাধিক মানুষ দুটি ট্রলারে করে সেখানে গিয়ে বাধা দেন এবং বিষয়টি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানান। খবর পেয়ে প্রশাসন থেকে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। তবে তাদের পৌঁছানোর আগেই স্পিডবোটযোগে আসা বালুদস্যুরা স্থানীয়দের ওপর গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ শাজাহান মীর অভিযোগ করেন, স্পিডবোটে করে ‘চকেট জামাল’ ও ‘শাহিনের’ নেতৃত্বে ৬–৭ জন অস্ত্রধারী এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
অভিযুক্ত চকেট জামাল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে। সরকারি বালুমহলের বাইরে আমি বা আমার কোনো লোক বালু উত্তোলনে জড়িত নই।’
ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. তৈয়বুর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত আছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই গুলির ঘটনা ঘটে এবং ড্রেজারটি সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হবে।’
ভোলা থানার ওসি হাচনাইন পারভেজ জানান, বালু কাটার প্রতিবাদ করায় স্থানীয়দের ওপর ছররা গুলি চালানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ