পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে গেছে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া মামলার আসামি ছাত্রদল নেতা। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সেই ছাত্রদল নেতার স্ত্রী, ভাই, বোন ও ভগিনীপতিকে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে নগরীর ডিসিঘাট এলাকায়। এ ঘটনায় গতকাল পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজেবাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ। এতে গ্রেপ্তারদেরসহ ১৫ জনকে স্বনামে এবং অজ্ঞাত আরও ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহবুব আলম জানান, নগরীর ডিসিঘাট কাঁচাবাজারের সামনে মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি হিসেবে মাসুমকে গ্রেপ্তার করেন তারা। তখন অন্যান্যরা আক্রমণাত্মক ও মারমুখী আচরণ শুরু করেন। তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে আসামিরা তাদের ওপর ইটের টুকরা নিক্ষেপসহ লাঠি, বাঁশ ও রড নিয়ে আক্রমণ করে। তখন মাসুম নামে এক পুলিশ সদস্যের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। আক্রমণে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই নাসিম হোসেন, এএসআই বোরহানউদ্দিন ও এটিএসআই জাইদুর রহমান। এর মধ্যে এসআই নাসিম হোসেন রক্তাক্ত জখম ও এএসআই বোরহানউদ্দিন এবং এটিএসআই জাইদুর রহমান লাঠিপেটা ও ইটের আঘাত পেয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স এলে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা রুস্তুম আলী হাওলাদারের ছেলে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাওলাদার মাসুমের স্ত্রী নাসরিন জাহান রিমি (২৫), ভাই সোহেল হাওলাদার (৩০), বোন শিল্পী বেগম (৪০) ও তার স্বামী রুবেল মিয়া (৪০)।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামি হিসেবে চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।