দেশের বাজারে চালের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে জিটুজির আওতায় চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকের পরপরই অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় জিটুজি ভিত্তিতে ছয়টি পৃথক প্রস্তাবে বিভিন্ন দেশ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ইতঃপূর্বে ক্রয় কমিটিতে অনুমোদিত আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল গোলচত্বর পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় বাড়ছে ১৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বৈঠকে বিএডিসি কর্তৃক জিটুজি ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ১ লাখ ৮০ হাজার টন সার আমদানির পাঁচটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি টন ৭৭২.৫০ ডলার দরে চীনের বেনিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বিএডিসি কর্তৃক সার আমদানির অন্য চারটি প্রস্তাবের সব সার সরবরাহ করবে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস। এর মধ্যে প্রতি টন ৫৮৫.৩৩ ডলার দরে ষষ্ঠ ও সপ্তম লটে ৮০ হাজার টন (প্রতি লটে ৪০ হাজার টন) টিএসপি সার আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
একইভাবে প্রতি টন ৭৬০.৩৩ ডলার দরে পঞ্চম ও ষষ্ঠ লটে ৮০ হাজার টন (প্রতি লটে ৪০ হাজার টন) ডিএপি সার আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে যথাক্রমে ৩৭২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার এবং ৩৭২ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া বিসিআইসি কর্তৃক সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ৪৪৭.৫০ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।