মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, চলতি বছরের শুরুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের সময় তিনি যুদ্ধবিরতি ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার ভাষায়, এতে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ রক্ষা হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, কয়েক দিন আগে হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসিম মুনির তার সঙ্গে বৈঠক করেন। সে সময় সিম মুনির বলেন, ‘এই মানুষটি (ট্রাম্প) যুদ্ধ থামিয়ে কোটি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।’ ট্রাম্পের দাবি, তার প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারণে সংঘাত আরও বড় আকার ধারণ করতে পারেনি।
তিনি আরও জানান, তার নয় মাসের শাসনামলে অন্তত সাতটি যুদ্ধ মীমাংসা হয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘গতকাল আমরা হয়তো সবচেয়ে বড় যুদ্ধও থামিয়েছি (গাজা যুদ্ধের প্রসঙ্গ)। তবে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধও খুব বড় ছিল, কারণ তারা উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। সেটিও আমি মীমাংসা করেছি।’
ট্রাম্প বলেন, তিনি পাকিস্তান ও ভারতকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করবেন না যদি যুদ্ধ চলতে থাকে। দুই দেশ আপত্তি জানালেও তিনি অবস্থানে অটল থাকেন। তার দাবি, এই সংঘাতের সময় অন্তত সাতটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়, যদিও কোন দেশের বিমান তা তিনি উল্লেখ করেননি।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ‘অপারেশন সিন্ধুর’ পরিচালনা করে। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। এতে দুই দেশের মধ্যে তীব্র সংঘাত শুরু হয়। ১০ মে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
ট্রাম্প দাবি করেন, তার হস্তক্ষেপেই এই যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। তবে ভারত জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান পরিচালকের উদ্যোগে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি হয়। প্রথমে পাকিস্তান ট্রাম্পের দাবি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে এবং তাকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল