মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী এক আদেশে ঘোষণা দিয়েছেন, কাতার আক্রমণের শিকার হলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রয়োজনে প্রতিশোধমূলক সামরিক পদক্ষেপও নেবে ওয়াশিংটন। দোহায় সম্প্রতি ইসরায়েলের নজিরবিহীন বিমান হামলার পর এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল কাতারের রাজধানী শহরে হামলা চালায়। সেখানে হামাস নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হামলায় কয়েকজন ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। তবে হামাসের শীর্ষ নেতারা বেঁচে যান।
ঘটনার পর কাতার ইসরায়েলের পদক্ষেপকে ‘কাপুরুষোচিত ও বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে আখ্যা দেয়। আন্তর্জাতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে কাতারের কাছে ক্ষমা চান। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু যৌথ ফোন কলে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানির কাছে এই ক্ষমা চান।
ইসরায়েলের হামলার পর কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা চালায় ওয়াশিংটন। ১৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দোহা সফরে গিয়ে কাতারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-কাতার নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব অটুট এবং উভয় দেশ মিলে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল অঞ্চল গড়ে তুলতে কাজ করবে।
ট্রাম্প তার নির্বাহী ঘোষণায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। কাতার দীর্ঘদিন ধরে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিরোধ মীমাংসায় যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র কাতারের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল