বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার লাখ মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে গড়ে ৭ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে পারলে প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার (১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবস উপলক্ষে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু বিন হাজ্জাজ। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
সভায় ‘সর্পদংশনে করণীয় ও চিকিৎসা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুল মতিন। তিনি বলেন, ‘সর্পদংশনের পর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়াই জীবন বাঁচানোর প্রধান উপায়। আক্রান্ত স্থানে গামছা বা ওড়না দিয়ে চেপে ধরে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে আনতে হবে। ওঝা, কবিরাজ বা সাপুড়ের কাছে নিয়ে গিয়ে সময় নষ্ট করলে জীবনহানি ঘটতে পারে।’
তিনি আরও জানান, দেশে সর্পদংশনের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিভেনম ইনজেকশন মজুত রয়েছে, যা ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
‘দ্রুত ব্যবস্থা নিন, জীবন বাঁচান’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত এই সভায় চিকিৎসক, সেবিকা, শিক্ষানবীশ চিকিৎসক, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ