গত এক বছরে বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ রিজিয়ন সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে ৬ কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার ২৫০ টাকা। মহাসড়কে চলতে গিয়ে বিভিন্ন যানবাহনের অনিয়ম চলাচল ও জরিমানা থেকে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মামলা করে এই রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সদরের বারোপুর হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়ন আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাইওয়ে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শহিদ উল্ল্যাহ এসব কথা বলেন।
হাইওয়ে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শহিদ উল্ল্যাহ জানান, বগুড়া হাইওয়ে রিজিয়ন রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত হলেও বর্তমানে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর ও রাজশাহীসহ ৫টি জেলায় হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম রয়েছে। ৭টি থানা ও ১টি হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ কার্যালয় থেকে যানবাহন সঠিক নিয়ম ও সঠিক কাগজপত্রের মাধ্যমে পরিচালনা করতে বলা হয়। এরপরেও যারা অনিয়ম করেছে। সরকারি আইন ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট মামলা হয়েছে ১৮ হাজার ৪০৮টি। এসব মামলা থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬ কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার ২৫০ টাকা। যা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। এছাড়া নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে মামালা হয়েছে ৩ হাজার ১২৯টি। হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন ধরণের মাদক উদ্বারেও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। দেশের মহাসড়কে নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা এবং সেবারমান নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের সহযোগিতা ও আস্থাই আমাদের মূল শক্তি। সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস, দ্রুত উদ্ধার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। হাইওয়ে পুলিশ নিজের বাহিনীর মধ্যেই শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর রয়েছেন। বগুড়া হাইওয়ে রিজিয়নের যদি কোন পুলিশ অপকর্ম বা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কোন ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, হাইওয়ে পুলিশ বরাবরই সাংবাদিকদের পাশে নিয়ে কাজ করতে চায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি অনেক সময় অনেক মিডিয়া অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপন করে জনগণতে বিভ্রান্ত করে। ফলে পুলিশের প্রতি জনগণের তীব্র নৈতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ আপনার সঠিক তথ্য তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করলে সবাই উপকৃত হবে। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন সময়ে মহাসড়কে নিরাপদে চলাচলে জনসচেতনতা, ওপেন হাউজ ডে, কমিউনিটি পুলিশিং সভা, চালক হেলপার প্রশিক্ষণ কর্মশালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা সভাসহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত