রাঙামাটির লংগদুতে নৌকা ডুবে এক নারীসহ দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন-শিরিনা আক্তার (৩৫) ও রানা মিয়া (৭) ও মো. মাসুম (৫)।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের এফআইডিসি টিলা এলাকার কাপ্তাই হ্রদ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি লংগদু উপজেলার বগাচত্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা আছর উদ্দীন তার পুরো পরিবার অর্থাৎ ছয়জন সদস্য নিয়ে রাঙামাটি লংগদু সদর থেকে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। নৌকায় ছিল তার স্ত্রী আছিয়া বেগম, মো. রহমান মিয়া, রানা মিয়া, মো. মাসুম ও শিরিন আক্তার। এসময় তীব্র ঝড়ো হাওয়ার মুখে পড়ে তাদের বহনকরা নৌকাটি। বাতাস আর কাপ্তাই হ্রদের স্রোতে মাঝ নদীতে উল্টে যায় যাত্রীসহ ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি। মুহূর্তে পানিতে ডুবে যায় নৌকার সব যাত্রী।
এসময় সাঁতার কেটে কোনো রকম নিজের প্রাণ রক্ষা করেন তিনি। তবে পানিতে তলিয়ে যায় শিরিন আক্তার, মাসুম ও রানা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসে স্থানীয়রা। এসময় পানি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু রানাকে। কিন্তু খোঁজ মিলে না ওই নারীসহ ছোট শিশুটির। বুধবার সকালে খবর দেওয়া হয় রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে। সারাদিন চেষ্টা চালিয়ে কাপ্তাই হ্রদের পানি থেকে উদ্ধার করা হয় নিখোঁজ শিরিন আক্তার ও মাসুমের মরদেহ।
রাঙামাটির লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সবার মরদহে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশি কার্যক্রম শেষে লাশ পরিবারকে হস্তান্ত করা হবে। একই সাথে ঝড়ের রাতে কাপ্তাই হ্রদ পাড়ি না দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের বিশেষ সতর্ক থাকার আহ্বান করা হয়েছে।
রাঙামাটি লংগদু থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বোরহান উদ্দীন বলেন, মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা হবে না। পরিবারকে এমনিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি থানায়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই