চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ঘাঁটি এলাকা হিসেবে পরিচিত। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি এ ঘাঁটিটি এবার নিজেদের দখলে নিতে চায়। আর সে লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ পাঁচ নেতা মনোনয়ন প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির এই পাঁচ নেতার মধ্যে রয়েছেন- ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক, সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, বিএনপির দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। বিএনপির পাশাপাশি আসনটি আগের মতোই দখলে রাখতে এরই মধ্যে এলডিপির একক প্রার্থী করা হয়েছে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ বীরবিক্রমের ছেলে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুককে। জামায়াতও এ আসনে একক প্রার্থী দিয়েছে। তিনি হলেন দলটির চিকিৎসক সংগঠক ডা. শাহাদাত হোসেন। এ ছাড়া এ আসনে এনসিপির হাসান আলী, সুন্নি ঐক্যজোটের সোলাইমান ফারুকীকে প্রার্থী করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি চন্দনাইশের দুটি পৌরসভা, আটটি ইউনিয়ন এবং সাতকানিয়ার ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মনোনয়ন প্রশ্নে বিএনপির আবদুস সালাম মামুন বলেন, প্রতিনিয়তই নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে বিবেচনা করবে। আরেক নেতা ডা. মহসিন জিল্লুর করিম বলেন, আশা করি দলের মনোনয়ন আমিই পাব। এ প্রত্যাশায়ই কাজ করে যাচ্ছি। মনে রাখতে হবে, অতীতে দুর্বল নেতৃত্বের কারণে অপার সম্ভাবনাময়ী এই চন্দনাইশের সত্যিকারের কোনো উন্নয়ন হয়নি। আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বলেন, মনোনয়ন পেয়ে ভোট যুদ্ধে বিজয়ী হলে উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও কর্মসংস্থান নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেব। মানুষ এখন উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে নানা সমস্যায় ধুঁকছে। সমস্যা-সংকট নিরসনে চেষ্টা করব। অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত ১৬ বছরে বিএনপি, অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন। তাদের পক্ষে আইনি সহায়তা দিয়ে এসেছি। এলাকার মানুষের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ। তাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এলডিপির প্রার্থী অধ্যাপক ওমর ফারুক বলেন, আমার বাবা ঘোষণা দিয়েছেন দুই দিনের নোটিসেও নির্বাচন করতে পারব। নির্বাচন নিয়ে এটাই আমাদের কথা। তবে প্রতিনিয়তই আমরা গণসংযোগ করছি। সবার কাছে যাব। দোয়া চাইব, ভোট চাইব। আশা করি চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার মানুষ আমাকে মূল্যায়ন করবেন। আমার বিশ্বাস, তারা আমার আগামীর স্বপ্ন পূরণে সারথী হবেন। জামায়াতের প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাই নিয়মিত নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি পালন করছি।