শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫ আপডেট: ০০:২০, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫

ফের ভয়ংকর রূপে বন্যা

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন, সাতক্ষীরায় ভেসে গেছে মাছের ঘের, খুলনায় ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, রাজশাহীতে বাড়ছে পদ্মার পানি, মোংলা পৌরসভায় জলাবদ্ধতা
প্রতিদিন ডেস্ক
প্রিন্ট ভার্সন
ফের ভয়ংকর রূপে বন্যা

টানা বৃষ্টিতে সারা দেশের জনজীবনে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায়ই তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। দেশের নিচু এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। এসব জায়গার কোথাও হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে, কোথাও জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, মৎস্য ঘের। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ফেনী : ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৩০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, পরশুরামের মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা ১২.৫৫ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় সর্বশেষ ১৩.৯২ মিটার উচ্চতায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় নদীর পানিপ্রবাহ ছিল ৭.০০ মিটার উচ্চতায়। রাত ১০টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় মুহুরী নদীর পানি বেড়েছে ৬.৯২ মিটার। অর্থাৎ ২২ ফুট ১০ ইঞ্চি বেড়েছে।

পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনায় দুটি, অলকায় তিনটি, শালধর এলাকায় একটি, ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগর এলাকায় একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়া এলাকার দুটি স্থানে ভেঙেছে। এ ছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়ায় দুটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানে ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। এতে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে ফেনীর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও ফেনীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, শহরে ও পরশুরাম এবং ফুলগাজীর অনেক বাসা, বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার এবং সাব-স্টেশন পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে এর পরিধি বাড়তে পারে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় তিনটি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। এরই মধ্যে শতাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে। তাদের জন্য শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল (৯ জুলাই) উপজেলার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়। যা চলতি বর্ষা মৌসুমের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে চেঙ্গি ও মাইনি নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি ঢুকেছে। খাগড়াছড়ি শহরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, কালাডেবাসহ কয়েকটি এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। খাগড়াছড়ি বাজারের সবজি বাজার কেন্দ্রীয় শাহী মসজিদের পেছনের সড়কটিও পানিতে ডুবে গেছে। একইভাবে গরুর বাজারও পানিতে ডুবে আছে।

কক্সবাজার : টানা ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজারের জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ ও কক্সবাজার শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার অনেক বাড়িঘর পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। আবহাওয়া অফিস বলছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়াও জেলার উখিয়া, টেকনাফ ও চকরিয়াসহ ৯টি উপজেলায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অনেক সড়ক ও উপসড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে এবং পাহাড় ধসের শঙ্কা এখনো বিদ্যমান। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ৭৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল রয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, উখিয়ার ১০টি ও টেকনাফের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া উখিয়ার তিনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জলাবদ্ধতা ও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্য অনুযায়ী, হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৮টি, হ্নীলা ইউনিয়নে ৭টি, টেকনাফ পৌরসভায় ৫টি, সেন্ট মার্টিনে ৫টি, টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ৫টি, সাবরাং ইউনিয়নে ৭টি এবং বাহারছড়া ইউনিয়নে ৮টি গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জলাবদ্ধতা ও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে সাড়ে ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারী বর্ষণে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই ও বংশাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কিছু কিছু স্থানে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এর ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে তিন দিন ধরে থেমে থেমে ভারী বর্ষণে জেলার সদর উপজেলাসহ নাগরপুর, ভুয়াপুর, গোপালপুর, বাসাইল ও মির্জাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাখিল রায়হান বলেন, জেলায় সব নদ-নদীর পানি প্রায় সাড়ে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যমুনাসহ সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সাতক্ষীরা : এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডসহ সাতক্ষীরা সদর, তালা, কলারোয়া, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে আমন বীজতলা, আউশ ধান, সবজি খেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে মৎস্য ঘের। এদিকে সুষ্ঠু ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ নিম্ন এলাকার দোকানপাট, বসতবাড়ি, রান্নাঘর, বাড়ির আঙিনা ও রাস্তাঘাটে পানি জমে আছে। ডুবে গেছে টিউবওয়েল। সুপেয় পানি সংকটের পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন এলাকাবাসী।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, এক সপ্তাহে সাতক্ষীরায় ২৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।

খুলনা : কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে খুলনার গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও মৎস্য ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি সবখানে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নগরীর টুটপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, মহিবাড়ি খালপাড়, আহসান আহমেদ রোডসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, তেরখাদায় ভারী বৃষ্টিতে নার্সারি সবজি, ধানের খেত ও মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। খুলনা-সাতক্ষীরা ও খুলনা-মোংলা সড়কে পানি জমে গর্ত তৈরি হয়েছে। পাইকগাছা মেইন সড়কের গোলাবাটি, সলুয়া, নতুন বাজার ও জিরো পয়েন্ট এলাকার রাস্তায় পানি জমে পিচ উঠে গেছে। যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

বান্দরবান : গত শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের জনজীবনে ভোগান্তি তীব্র আকার ধারণ করেছে। শহরের লোকজন চলাফেরা করতে পারলেও পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীরা বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবান জেলার সাঙ্গু অববাহিকায় ১০১ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং মাতামুহুরী অববাহিকায় ৬৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

রাজশাহী : রাজশাহীতে এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি অব্যাহত আছে। একই সঙ্গে উজান থেকে পানি নেমে আসছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক জানান, বুধবার সকাল ৯টায় পদ্মার পানি ছিল ১২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া ৮ জুলাই ১২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার, ৭ জুলাই ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার, ৬ জুলাই ১১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার, ৫ জুলাই ১১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, ৪ জুলাই ১১ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার ও ৩ জুলাই ১১ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার ছিল।

নদীপাড়ের বাসিন্দারা বলছেন, ভারতের বন্যার কারণে দেশটি ফারাক্কার গেট খুলে দিয়েছে। এজন্য রাজশাহীতে পদ্মায় পানি বাড়ছে। পদ্মা নদীর চরখিদিরপুর এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে গেছে। জেলার পবা, বাঘা ও গোদাগাড়ী অংশে নদীতে ভাঙনও দেখা দিয়েছে।

ঝিনাইদহ : আষাঢ়ের অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের জনজীবন। কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রামীণ জনপদ জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ। শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল সকাল থেকে শহরের সদর হাসপাতাল, বাঘা যতীন সড়ক, পোস্ট অফিস মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমেছে। ফলে রিকশা, ইজিবাইক ও ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসমুখী মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।

একই চিত্র জেলার বিভিন্ন উপজেলা, বিশেষ করে কালীগঞ্জ, মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপার গ্রামীণ এলাকায়। বৃষ্টির কারণে খেতখামারে পানি জমে গেছে। ফলে কৃষকরা শঙ্কায় পড়েছেন। আগাম রোপণকৃত আমন ধান ও সবজি খেত তলিয়ে গেছে। মতিয়ার রহমান নামের এক ইজিবাইক চালক বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য কোনো যাত্রী পাচ্ছি না। আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে আছি।’

মোংলা : কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে মোংলা পৌর শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে পুকুর, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। পানিতে ডুবেছে ঘরের চুলাও। তাই কয়েক দিন ধরে রান্না বন্ধ আছে অনেক পরিবারের। ঘরে পানি ওঠায় অনেকে খাট, মাচা ও টোঙ্গের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকাই জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে টানা বৃষ্টিপাতে এখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কষ্টে দিন পার করছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

এ ছাড়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিচু এলাকায়ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে বেড়েছে নদীর পানিও। তাই জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে পশুর নদীর পাড়ের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা অমল কৃষ্ণ সাহা বলেন, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি না কমলে পানিও কমবে না। তারপরও পানি নামানোর জন্য পৌর কর্মচারীদের জলাবদ্ধ এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।

নোয়াখালী : নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জেলায় এক দিনে পানি বেড়েছে ১৯ সেন্টিমিটার। পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে নোয়াখালীর সদর, কোম্পাানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ কবিরহাট, সুবর্ণচরে বেশি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অনেকের বসতঘরে পানি ঢুকেছে। এ চারটি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর, রামপুর ও চর এলাহী ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদী ও বামনী নদীর তীরবর্তী এলাকা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মুছাপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ সড়ক ডুবে গেছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অনেক বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে লোকজন সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।

অপরদিকে, জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। পাড়ামহল্লায় বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নোয়াখালী পৌর শহরের স্টেডিয়ামপাড়া, ডিসি সড়ক, জজ কোর্ট, জামে মসজিদ সড়ক, ইসলামিয়া আলফারুক স্কুল সড়ক, জেলখানা সড়ক এলাকা, হরিনারায়ণপুর, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হাউজিংসহ বেশির ভাগ এলাকার সড়কে হাঁটুর কাছাকাছি পানি উঠেছে। এ ছাড়া এসব এলাকার নিচতলা ও কাঁচা ঘরে পানি ডুকেছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। চলতি বর্ষায় শহরের বেশির ভাগ সড়কে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় সড়কগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

কুমিল্লা : দুই দিনের টানা বৃষ্টিপাতে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ডুবে গেছে নগরীর প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলি। দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিম্নআয়ের মানুষের আয়-রোজগার।

সরেজমিন গতকাল সিটি কপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সমনের সড়ক, বিসিক শিল্পনগরী এলাকা, জেলা স্কুল সড়ক, ঈদগাহ এলাকা, ছাতিপট্টি, দক্ষণ চর্থা, কান্দিরপাড়-রাণীর বাজার সড়ক, ঠাকুরপাড়া, ছায়া বিতান ও শুভপুরসহ নগরীর নিচু এলাকাগুলোয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

কামরুল হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, বর্তমানে কুমিল্লা নগরীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। এটা এক-দুই দিনের না, সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠারও আগের। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।

বরিশাল : চার দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলোতে হাঁটুপানি জমে যাওয়ায় অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজে যাওয়া ছাড়াও জরুরি কাজের জন্য বের হওয়া নগরবাসী ভোগান্তিতে পড়ছেন। নগরবাসীর অভিযোগ- বর্ষা মৌসুমে ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারসহ অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে পানি নামতে পারছে না। এ নিয়ে নগরবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বৃষ্টির প্রভাবে নগরীর মেজর এম এ জলিল সড়কের বটতলা থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পুরো সড়কটিতে হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া জীবনানন্দ দাশ সড়কের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এলাকা, অক্সফোর্ড মিশন রোড, মুন্সির গ্যারেজ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া বরিশাল নগরীর পলাশপুর, ভাটিখানা, রসুলপুর, মোহাম্মদপুর, কাউনিয়া ও আলেকান্দার কিছু অংশ, ধান গবেষণা রোড, বিএম স্কুল রোড, আমানতগঞ্জ, করিম কুটির, মুনসুর কোয়ার্টার, ব্রাউন কম্পাউন্ড, শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেন, রূপাতলী হাউজিংসহ নিচু সড়কে পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে সময় কাটাচ্ছে এসব নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। তবে অতীতের মতো সদর রোড, আগরপুর রোড, প্যারারা রোডসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা যায়নি। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চলেও অতীতের তুলনায় কিছুটা কম জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে তিন দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা ও রাস্তাঘাট। কারও কারও পুকুর ভেসে মাছ বেরিয়ে গেছে। এতে করে যেমন বেড়েছে ভোগান্তি তেমনই কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষ। অন্যদিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় লক্ষ্মীপুরে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামগতি আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. সোহরাব হোসেন। এদিকে লক্ষ্মীপুর শহরের এবং আশপাশের এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা বেহাল এবং যত্রতত্র ভরাট হয়ে পড়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছেন পৌরবাসী। গতকাল দুপুরে সরেজমিন বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার বিভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। টানা বর্ষণে জেলা শহর কলেজ রোড, পিটিআই মোড়, রেহান উদ্দিন ভূঁইয়া সড়ক, জেবি রোড, কালু হাজি রোডসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, যানবাহনচালক ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর
ব্রিটেনে অ্যাসাইলাম বাতিলের শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ
ব্রিটেনে অ্যাসাইলাম বাতিলের শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ
ভারতের গার্মেন্ট ও হীরাশিল্প প্রায় স্তব্ধ
ভারতের গার্মেন্ট ও হীরাশিল্প প্রায় স্তব্ধ
রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর
রাকসু নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর
আসনের সীমানা আপত্তির শুনানি শেষ সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
আসনের সীমানা আপত্তির শুনানি শেষ সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
বিভেদের বরফ গলছে না
বিভেদের বরফ গলছে না
মোদি ভয়ংকর বললেন ট্রাম্প
মোদি ভয়ংকর বললেন ট্রাম্প
৮৫ শতাংশ মানুষ নগদ লেনদেন করেন
৮৫ শতাংশ মানুষ নগদ লেনদেন করেন
জটিলতা না করে ঘোষিত সময়ে নির্বাচন দিন
জটিলতা না করে ঘোষিত সময়ে নির্বাচন দিন
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত
নগদকে বেসরকারি খাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
নগদকে বেসরকারি খাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
নজরুল জালিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রেরণা
নজরুল জালিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রেরণা
উৎসবের আমেজ, ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনাও
উৎসবের আমেজ, ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনাও
সর্বশেষ খবর
টাইব্রেকারে হেরে কারাবাও কাপ থেকে ছিটকে গেল ম্যানইউ
টাইব্রেকারে হেরে কারাবাও কাপ থেকে ছিটকে গেল ম্যানইউ

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

মোহাম্মদপুরে ডিএমপির বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ২০
মোহাম্মদপুরে ডিএমপির বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ২০

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

গাজা নগরী খালি করতেই হবে, হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের
গাজা নগরী খালি করতেই হবে, হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈষম্য থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় না
বৈষম্য থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় না

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নগদ লেনদেনে বছরে ক্ষতি ২০০৮ কোটি টাকা
নগদ লেনদেনে বছরে ক্ষতি ২০০৮ কোটি টাকা

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৮ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৮ আগস্ট)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওমরাহ যাত্রী ও বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে নভোএয়ার
ওমরাহ যাত্রী ও বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে নভোএয়ার

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা
দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ
সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে কিউই ফাস্ট বোলার ও’রুর্ক
তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে কিউই ফাস্ট বোলার ও’রুর্ক

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহাজে লুকিয়ে বিদেশ যাত্রার চেষ্টা ও চুরির পরিকল্পনা, বন্দরে আটক ৩
জাহাজে লুকিয়ে বিদেশ যাত্রার চেষ্টা ও চুরির পরিকল্পনা, বন্দরে আটক ৩

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আফগানিস্তানে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৫
আফগানিস্তানে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২৫

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস
ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার মিত্রদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চান অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক
রাশিয়ার মিত্রদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চান অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত : ফাওজুল কবির
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত : ফাওজুল কবির

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ বুয়েটের
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ বুয়েটের

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইয়াবাসহ কাভার্ডভ্যানের চালক-হেলপার গ্রেফতার
ইয়াবাসহ কাভার্ডভ্যানের চালক-হেলপার গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচন চাইলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করুন : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নির্বাচন চাইলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করুন : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষিকা নিহত
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষিকা নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তিগত বক্তব্যের দায় দল নেবে না : প্রিন্স
ব্যক্তিগত বক্তব্যের দায় দল নেবে না : প্রিন্স

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা
চাঁদপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের লুট হওয়া পিস্তল উদ্ধার, আটক ১
পুলিশের লুট হওয়া পিস্তল উদ্ধার, আটক ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৬ বিভাগে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টির আভাস
৬ বিভাগে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টির আভাস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাউফলে কিশোরী হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৩
বাউফলে কিশোরী হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ৩

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আলুর সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিল সরকার
আলুর সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিল সরকার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্যাসিস্ট হাসিনার নৃশংসতার প্রতিবাদে জেগে ওঠে ছাত্র-জনতা : মাহফুজ আলম
ফ্যাসিস্ট হাসিনার নৃশংসতার প্রতিবাদে জেগে ওঠে ছাত্র-জনতা : মাহফুজ আলম

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্রান্স-স্পেনসহ চারটি দেশে ভোটার নিবন্ধনে সম্মতি পেয়েছে ইসি
ফ্রান্স-স্পেনসহ চারটি দেশে ভোটার নিবন্ধনে সম্মতি পেয়েছে ইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কিশোরকে আত্মহত্যার পথ বাতলে দেয়ায়  চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা
কিশোরকে আত্মহত্যার পথ বাতলে দেয়ায় চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সর্বাধিক পঠিত
প্রথম আলোর ফ্যাসিস্ট ভূমিকা জাগ্রত হচ্ছে
প্রথম আলোর ফ্যাসিস্ট ভূমিকা জাগ্রত হচ্ছে

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ছাড়া পানিতে বন্যা, বিস্ফোরণে বাঁধ উড়িয়ে দিলো পাকিস্তান (ভিডিও)
ভারতের ছাড়া পানিতে বন্যা, বিস্ফোরণে বাঁধ উড়িয়ে দিলো পাকিস্তান (ভিডিও)

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসনাতকে নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন রুমিন ফারহানা
হাসনাতকে নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন রুমিন ফারহানা

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ভূতের মুখে রাম নাম’, হাসিনাও এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান : অ্যাটর্নি জেনারেল
‘ভূতের মুখে রাম নাম’, হাসিনাও এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা-গ্রিনকার্ড নীতিতে বড় যে পরিবর্তন আসছে
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা-গ্রিনকার্ড নীতিতে বড় যে পরিবর্তন আসছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অপু বিশ্বাস জানালেন, ‘আমি বিবাহিত’ – তবে প্রকাশ্যে আনতে নারাজ
অপু বিশ্বাস জানালেন, ‘আমি বিবাহিত’ – তবে প্রকাশ্যে আনতে নারাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানীর সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং
রাজধানীর সব বাস চলবে একক ব্যবস্থায়: প্রেস উইং

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক কার্যকর, কী করবেন মোদি?
ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক কার্যকর, কী করবেন মোদি?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল কারাগারে
ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালাল কারাগারে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট মুনাফা সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুমিল্লা কারাগারে হত্যা মামলার আসামির সন্তান প্রসব
কুমিল্লা কারাগারে হত্যা মামলার আসামির সন্তান প্রসব

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেফতার
হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যমুনা অভিমুখে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা: টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ
যমুনা অভিমুখে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা: টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধোত্তর গাজা নিয়ে ‘বড় বৈঠকের’ আয়োজন করছেন ট্রাম্প
যুদ্ধোত্তর গাজা নিয়ে ‘বড় বৈঠকের’ আয়োজন করছেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি
আবারও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুগল সার্চে এআই মোড চালু: ব্যবহার করবেন যেভাবে
গুগল সার্চে এআই মোড চালু: ব্যবহার করবেন যেভাবে

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আপনার প্রতি কেউ একজন তেমন খুশি নন, মোদিকে ফিজির প্রধানমন্ত্রী
আপনার প্রতি কেউ একজন তেমন খুশি নন, মোদিকে ফিজির প্রধানমন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাকা ছাপানো ও বিতরণে বছরে ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকা: গভর্নর
টাকা ছাপানো ও বিতরণে বছরে ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকা: গভর্নর

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লোকগীতি গেয়ে দেশসেরা বগুড়ার অনসূয়া
লোকগীতি গেয়ে দেশসেরা বগুড়ার অনসূয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবারও ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ইরান, হুঁশিয়ারি তেহরানের
আবারও ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ইরান, হুঁশিয়ারি তেহরানের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশ থেকে পৃথিবী কেমন দেখায় জানালেন নভোচারীরা
মহাকাশ থেকে পৃথিবী কেমন দেখায় জানালেন নভোচারীরা

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন, প্রকাশ শিগগিরই : ইসি মাছউদ
নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন, প্রকাশ শিগগিরই : ইসি মাছউদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘নির্বাচনের রোডম্যাপ কালই ঘোষণা হতে পারে’
‘নির্বাচনের রোডম্যাপ কালই ঘোষণা হতে পারে’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলুর সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিল সরকার
আলুর সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিল সরকার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫০ শতাংশ শুল্ক, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের যেসব খাত
৫০ শতাংশ শুল্ক, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের যেসব খাত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম
নতুন ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘মান্নাত’কে টপকে যাবে রণবীর-আলিয়ার নতুন বাড়ি!
‘মান্নাত’কে টপকে যাবে রণবীর-আলিয়ার নতুন বাড়ি!

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারী থালাপতি বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণাকারী থালাপতি বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
সিআইডির জেরার মুখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আফ্রিদির
সিআইডির জেরার মুখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আফ্রিদির

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমান যদি কিছু মনে না করেন
তারেক রহমান যদি কিছু মনে না করেন

সম্পাদকীয়

সেপ্টেম্বরে সংলাপ ফেব্রুয়ারিতে ভোট
সেপ্টেম্বরে সংলাপ ফেব্রুয়ারিতে ভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলুর সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিল সরকার
আলুর সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিল সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

শৃঙ্খলায় ফিরছে ঢাকার বাস
শৃঙ্খলায় ফিরছে ঢাকার বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ধানের শীষ পেতে চান পাঁচজন, অন্যরা মাঠে
ধানের শীষ পেতে চান পাঁচজন, অন্যরা মাঠে

নগর জীবন

প্রার্থিতার জন্য মাঠ চষছেন বিএনপির ছয় নেতা
প্রার্থিতার জন্য মাঠ চষছেন বিএনপির ছয় নেতা

নগর জীবন

মোদি ভয়ংকর বললেন ট্রাম্প
মোদি ভয়ংকর বললেন ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ
পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশিদের অপেক্ষায় কলকাতার ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশিদের অপেক্ষায় কলকাতার ব্যবসায়ীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্যামাসুন্দরী ঘিরে আশার আলো
শ্যামাসুন্দরী ঘিরে আশার আলো

পেছনের পৃষ্ঠা

হাওড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বড় প্রকল্প, ব্যয় ২২০০ কোটি
হাওড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বড় প্রকল্প, ব্যয় ২২০০ কোটি

পেছনের পৃষ্ঠা

জটিলতা না করে ঘোষিত সময়ে নির্বাচন দিন
জটিলতা না করে ঘোষিত সময়ে নির্বাচন দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

বিভেদের বরফ গলছে না
বিভেদের বরফ গলছে না

প্রথম পৃষ্ঠা

লুটপাটে বিপর্যস্ত হাইটেক পার্ক
লুটপাটে বিপর্যস্ত হাইটেক পার্ক

নগর জীবন

৮৫ শতাংশ মানুষ নগদ লেনদেন করেন
৮৫ শতাংশ মানুষ নগদ লেনদেন করেন

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদকে বেসরকারি খাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
নগদকে বেসরকারি খাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

নজরুল জালিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রেরণা
নজরুল জালিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রেরণা

প্রথম পৃষ্ঠা

আপনার প্রতি কেউ খুশি নয়
আপনার প্রতি কেউ খুশি নয়

পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত

প্রথম পৃষ্ঠা

উৎসবের আমেজ, ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনাও
উৎসবের আমেজ, ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনাও

প্রথম পৃষ্ঠা

ভিসা-গ্রিনকার্ড নীতিতে বড় পরিবর্তন আনছেন ট্রাম্প
ভিসা-গ্রিনকার্ড নীতিতে বড় পরিবর্তন আনছেন ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

নড়বড়ে সাঁকোই ভরসা দুই জেলাবাসীর
নড়বড়ে সাঁকোই ভরসা দুই জেলাবাসীর

দেশগ্রাম

মানবদেহে শূকরের ফুসফুস প্রতিস্থাপন
মানবদেহে শূকরের ফুসফুস প্রতিস্থাপন

পূর্ব-পশ্চিম

বাঁধ খুলে দিল ভারত
বাঁধ খুলে দিল ভারত

পূর্ব-পশ্চিম

আত্মহত্যায় সহায়তার অভিযোগে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা
আত্মহত্যায় সহায়তার অভিযোগে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা

পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলে বিক্ষোভ, অবরোধ
গাজায় গণহত্যা বন্ধে ইসরায়েলে বিক্ষোভ, অবরোধ

পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

পাকিস্তানে অভিযানে নিহত ৪৭ সন্ত্রাসী
পাকিস্তানে অভিযানে নিহত ৪৭ সন্ত্রাসী

পূর্ব-পশ্চিম