অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ভিকটিমের পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পায় এবং কেউ যাতে মিথ্যা মামলায় ভুক্তভোগী না হয় সেজন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে একটি সংশোধনী প্রস্তাবনা করা হয়েছে। যাতে করে অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থায় একটি ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া যায়। গতকাল বিকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় নিহতের পরিবার মামলার বাদী না হওয়া এবং মিথ্যা মামলার হয়রানি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এবং জেলার সব সরকারি কৌঁসুলি ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তদন্তের মাঝখানে গিয়ে কোন কোন আসামির বিরুদ্ধে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া যেতে পারে যাদের বিরুদ্ধে এপারেন্টলি মনে হবে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রায়োরিটি বেসিসে তদন্ত সম্পন্ন করা এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সেই প্রায়োরিটি ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যা মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, ত্বকী হত্যা মামলাটি অত্যন্ত সেনসেটিভ মামলা। এ মামলার স্থবিরতা কোন স্টেজে রয়েছে সেটি জেনে নিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থানান্তর সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রস্তাবনা এসেছে। এটি এখনো বিচার বিবেচনাধীন রয়েছে। এটা পরে বলা যাবে কতটা ফলপ্রসূ হবে। এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল ইসলাম, জেলা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট খোরশেদ মোল্লা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধানসহ আরও অনেকে।