শিকার করা নিষিদ্ধ বন্য পাখির মাংস বিক্রি বন্ধে শনিবার একটি মোবাইল কোট পরিচালিত হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের ডুগডুগির বাজার নামক জায়গায় মহব্বত আলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত এর নেতৃত্বে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
এসময় হোটেলের সত্ত্বাধিকারী মহব্বত হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরিচালনাকালে শিকার এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ১৯ কেজি মাংস এবং দুটি জীবন্ত কাছিম উদ্ধার করা হয়। এসময় ৮ কেজি ডাহুক , ৯ কেজি ছোট বক, ২ কেজি ছোট পানকৌড়ির মাংস ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয়। মহব্বত হোসেন গত ১৫ বছর ধরে রাতচড়া, পানকৌড়ি, বিভিন্ন প্রজাতির বালিহাঁস, পাতিসরালি, কোড়া, ডাহুক, হড়িয়াল, ঘুঘু, তিতির, সারস, বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক পাখি বিক্রি করে আসছিলেন।
এ সময় বন বিভাগের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ ও মো. খাইরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গির কবির বলেন, "গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন, মহব্বত এর হোটেল অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাখি প্রকৃতির আইন অনুযায়ী এদের ধরা, মারা, মাংস খাওয়া, বাসায় পোষা, দখলে রাখা, ক্রয়- বিক্রয়, পরিবহন, হত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিডি প্রতিদিন/এএম