বগুড়ায় প্রথম ধাপে তিনটি উপজেলার নির্বাচনে প্রার্থীরা এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারাই বেশি। তবে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের পাশে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অপেক্ষাকৃত নবীনদের বেশি দেখা যাচ্ছে।
মাঠের রাজনীতিতে একসঙ্গে দলীয় কর্মসূচি পালন করলেও ভোটের মাঠে নবীন-প্রবীণ হয়ে উঠছে প্রতিযোগী। দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের পক্ষে টানতে নানা কৌশলে মাঠে তৎপর সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সবমিলিয়ে বগুড়ার তিনটি উপজেলায় এখন ভোটের আমেজ।
জানা যায়, প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ আগামী ৮ মে। সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার ১২ উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলার ভোট ওই দিনই অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলাগুলো হলো গাবতলী, সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি।
এতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হলেও মাঠে নেই বিএনপি। কেন্দ্রীয় নির্দেশের অপেক্ষায় জামায়াতে ইসলামী। এই তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের চাইতে দৌড়ে এগিয়ে নবীনরা। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা বেড়েছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজেদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন তারা। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরে সর্বত্রই এখন উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থিতা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এদিকে, আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেলেও নির্বাচন থেকে দূরে সরে আছে বিএনপি। আর কেন্দ্রীয় নির্দেশের অপেক্ষায় জামায়াতে ইসলামী। তাদের তেমন আগ্রহ নেই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে। দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তারা। তবে বিএনপির তৃণমূল নেতাদের কেউ কেউ দলীয় প্রতীকবিহীন ভোটে অংশ নিয়ে জনপ্রতিনিধি হতে চান। তাদের কেউ নীরবে, কেউ সরবে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা।
সোনাতলা উপজেলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন জাকির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাউল হক জুলু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মহিদুল ইসলাম খন্দকার।
সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন-বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু, প্রয়াত এমপি আব্দুল মান্নান ও বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নানের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী তরফদার, সাধারণ সম্পাদক আশিক আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান মিঠু।
গাবতলী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান ও বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম ভূলন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য কৃষিবিদ অরুন কান্তি রায় সিটন, সাবেক সেনা সদস্য আতাউর রহমান বানু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান সিদ্দিকী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাহানুর ইসলাম সাকিল। এ উপজেলায় বিএনপি বা জামায়াতের কোনো প্রার্থীর তৎপরতা নেই বললেই চলে।
বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সকলের সহযোগিতায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
বিডি প্রতিদিন/এমআই