জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার, প্রসার এবং গবেষণা জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদের তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। কাকরাইল মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর আরো অনেক যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বুধবার দিনাজপুর শহরের শেখ ফরিদ গোরস্থান দারুল কোরআন হাফিজিয়া ক্বারিয়ানা মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর ৩য় তলার ছাদ ঢালাই এর উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও শশরা ইউনিয়নের উমর পাইল সর্দারপাড়া জামে মসজিদ-এর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন তিনি।
ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ইসলাম ধর্মকে শান্তির ধর্মতে পরিণত করেছেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। তিনি এটা মেনেই শান্তির জন্য মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার।
পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব আলী দুলাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, দিনাজপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. শামীম আলম সরকার বাবু, সাধারন সম্পাদক এনাম উল্ল্যাহ জ্যামী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইসহাক চৌধুরী, শেখ মোঃ শাহ আলম, সাধারন সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, শশরা ইউপি চেয়ারম্যান মোকসেদ আলী রানা, মোস্তফাকা কামাল, দিনাজপুর চেম্বারের পরিচালক সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন, ছাড়াও শেখ ফরিদ গোরস্থান দারুল কোরআন হাফিজিয়া ক্বারিয়ানা মাদরাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর গভর্নিং বডির সভাপতি আনরুল কাদির জুয়েল, উমর পাইল সর্দারপাড়া জামে মসজিদ-এর উপদেষ্টা আহাম্মেদ রাজিউর রহমান প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন মো. রেজাউল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল