পদ্মা নদীর ভাঙনে বন্ধ হয়ে গেছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তের ৪ নম্বর ফেরিঘাট। বর্তমানে দৌলতদিয়া প্রান্তের ৭টি ঘাটের মধ্যে ২টি ফেরিঘাট চালু রয়েছে।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটটি সচল করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে পদ্মার ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে প্রায় ৩০ মিটির অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
আজ রবিবার দুপুরে ফেরিঘাট গিয়ে দেখা যায়, ৪ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে। ফেরিঘাটের পল্টুনের নিচ থেকে ভাঙন শুরু হওয়ার কারণে ফেরিঘাট ৪ নম্বার ঘাট থেকে সামান্য দূরে মোটা রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। ভাঙন কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
ঘাট এলাকার বাসিন্দারা বলেন, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ভাঙন শুরু হয়। পদ্মার তীরে ভাঙন আতঙ্ক চলছে। ৪ নম্বর ঘাট এলাকায় প্রায় শতাধিক বাড়ি রয়েছে। সেগুলো হুমকির মধ্যে রয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট নিয়ে এখন আর কারও মাথাব্যাথা নাই। একটি বড় প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার কথা ছিল। ঘাট এলাকা সিসি ব্লক দিয়ে বেঁধে দেওয়ার কথা ছিল। সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। পানি হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙন বৃদ্ধি পাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন বলেন, বর্তমানে দুইটি ফেরিঘাট সচল রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪ নম্বর ফেরিঘাটটি সচল করা প্রয়োজন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট আধুনিকায়ণ হওয়ার কথা ছিল।৬৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৪ টাকা দিয়ে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা ছিল। ৭০০ জন জমির মালিককে বলে দেওয়া হয়েছে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না। জিও ব্যাগ দিয়ে আপাতন ভাঙন রোধে কাজ করার চলমান রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন