কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। পানি কমতে শুরু হলেও দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন। শুক্রবার রাতে নদীর তীরবর্তী এলাকার ১২টি বাড়ি মাতামুহুরী নদীতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া নদীর দুই কূলও ভাঙতে দেখা যায়। টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, চকরিয়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ড কোচপাড়া এলাকায় শহর রক্ষাবাঁধের বাইরে ১২টি ঘর মাতামুহুরী নদীতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ওই পরিবারের সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নেন।
চকরিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক বলেন, ১২টি ঘর শুক্রবার রাতে মাতামুহুরী নদীতে বিলিন হয়েছে। শনিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মাতামুহুরীর কোচপাড়া অংশে ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রাতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ শামসুল আলম বলেন, রাতে আমার বাড়িটি ঢলের পানির তোড়ে বিলিন হয়েছে। মাথাগোঁজার ঠাই হারিয়ে আমি এখন দিশোহারা।
মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, চিরিঙ্গা-মানিকপুর সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফাইতং ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত ও সড়ক নদীতে বিলিন হয়েছে। এছাড়া ছিকলঘাট-ইয়াংছা সড়কের সুরাজপুর এলাকার মাতামুহুরী ব্রীজের সাথে বড় একটি বাঁশের ভেলার ধাক্কায় ব্রীজের পিলার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি জানান।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান বলেন, পানি নামার পর বিভিন্ন এলাকার সড়কের ক্ষতচিহ্ন দেখা যাচ্ছে। ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়ক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকাদর বলেন, বেতুয়াবাজার-বাংলাবাজার সড়কের বিভিন্ন অংশ পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মৎস্যঘের পানিতে প্লাবিত হয়।
কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মক্কি ইকবাল বলেন, এই ইউনিয়নের অধিকাংশ ধানক্ষেত ও সবজি ক্ষেতের চারা নষ্ট হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, এখনো সব এলাকা থেকে পানি সরে যায়নি। পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম