কুড়িগ্রামে শীতের তীব্র দাপট ও কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। গত তিনদিন ধরে ঘন কুয়াশায় দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যায় না। ফলে প্রতিদিনই ঠাণ্ডার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করেছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিন দিনে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
এ অবস্থায় জেলার শীতার্ত মানুষ ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী মানুষগুলো হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে।
অতিরিক্ত ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষগুলো। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে পেটের দায়ে কাজে যেতে হচ্ছে। শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
এদিকে, অতিরিক্ত শীতের কারণে জেলার জেনারেল হাসপাতালে ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সসমুহে শীতজনিত নিউমোনিয়া, সর্দিকাশি ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধরা।
কুড়িগ্রাম ডেপুটি কমিশনার নুসরাত সুলতানা জানান, শীতার্ত মানুষের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যেই আমরা জেলার ৯ উপজেলায় ২ হাজার কম্বল বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে আরো বিতরণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল