দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে বেড়েছে আলু, পিঁয়াজ, আদা ও ডিমের দাম। দুদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যে প্রকারভেদে দাম বেড়েছে ৪ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হিলির খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে জিরার। পণ্যটির দাম কমায় খুশি সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা।
সোমবার হিলি বাজারে দেখা যায়, দুদিন আগে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ১০০ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, ৪ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকায়। ৩০টি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। যা দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকায়।
অন্যদিকে, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৭০ টাকা দাম কমেছে জিরার। যে জিরা তিন সপ্তাহ আগে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই জিরা বর্তমানে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এ সময়ে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে জিরা বিক্রি হয়েছে।
হিলি বাজারে পিঁয়াজ কিনতে আসা রফিক বলেন, সেদিন এক কেজি পিঁয়াজ কিনে নিয়ে গেলাম ৫০ টাকা আর আজ ৭০টাকা। আয় বাড়ে না কিন্তু জিনিসের দাম বাড়ে। সরকারের কাছে অনুরোধ সব জিনিসের দাম যেনো কমে যায়।
ডিম ক্রেতা আজাদ বলেন, ডিমের দাম কম হলে আমাদের নি¤œবিত্তদের জন্য ভালো। কারণ আমরা তেমন মাছ-মাংস কিনতে পারিনি তাই ডিমের দাম কম হলে ভালো।
আলু ও আদা ক্রেতা আলী হাসান বলেন, হিলি বাজারে এসে দেখি দুদিনের তুলনায় সব জিনিসের দাম বেশি। ১৪ টাকা কেজির আলু কিনতে হল ১৮ টাকা আবার ৯০ টাকা কেজির আদা কিনতে হলো ১৫০ টাকা কেজিতে।
হিলি বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ জানান, দেশীয় পিঁয়াজের সরবরাহ সংকটের কারণে মোকামে অনেক দাম বেড়েছে। আগে ৪৮-৫০ টাকা কেজি পিঁয়াজ কিনেছি এখন মোকামে ৬০-৬২ টাকা কেজিতে পিঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। যার কারণে বেশি দামে পিঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ জিরা আমদানি হয়েছে। তাই বাজারে জিরার দাম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এক বছরের ব্যবধানে দাম অর্ধেকে নেমেছে।
মসলা কিনতে আসা ক্রেতা মাহবুব বলেন, হিলি বাজারে জিরার দাম অনেকটা কমে গেছে। গত দুই মাস আগে যে জিরা ৬০০ টাকার উপরে কিনেছিলাম, আজ তা কিনলাম ৫৩০ টাকা কেজি হিসেবে। দাম কম হওয়াতে এক কেজি জিরা কিনলাম।
বাজারের খুচরা মসলা ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন শাওন বলেন, হিলি স্থলবন্দরে প্রচুর জিরা আমদানি হয়েছে।বর্তমানে আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। আবার বর্তমান মসলার বেচা বিক্রি একেবারে কম। সবমিলে কমে গেছে জিরার দাম।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল