গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য গাজী হামাদসহ শীর্ষ নেতারা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। তবে ওই হামলায় ছয়জন নিহত হয়। ঘটনার পর প্রথমবারের মতো আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাদ হামলার মুহূর্তের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকারে গাজী হামাদ বলেন, আমরাই একমাত্র লক্ষ্য নই, পুরো জাতিই এখন ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু। ইসরায়েলের কোনো রেড লাইন নেই। নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিতে চাইলেও এর জবাব আরব দেশগুলোকেই দিতে হবে।
তিনি জানান, হামলার আগে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। বৈঠক শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তারা। গাজী হামাদ বলেন, গাজার বাসিন্দা হিসেবে আমরা সেই শব্দ চিনতে পারি। আমরা বুঝে যাই এটি একটি হত্যাচেষ্টা এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করে সরে যেতে সক্ষম হই।
তিনি আরও জানান, আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন তারা। হামাদ বলেন, আমেরিকান মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ছিল তিক্ত। তারা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে, কারণ তারা নিজেদের প্রস্তাব থেকেও পিছিয়ে আসে।
হামাদ সাক্ষাৎকারে গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের বিষয়ে বলেন, আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চললেও, আমরা বন্দিদের সঙ্গে আমাদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা ও মূল্যবোধ অনুসারে আচরণ করি। যারা তাদের ঝুঁকিতে ফেলেছে, তারাই প্রকৃত দখলদার।
বিডি-প্রতিদিন/শআ