উজানের পানি ও অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে তিস্তা ও দুধকুমর নদের পানি কমে বিপৎসীমার কাছে রয়েছে। এছাড়াও ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদসহ সবকটি নদ নদীর পানিও গত দিনের চেয়ে ক্রমেই বেড়ে সেগুলোও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জানায়, গত কয়েকদিন ধরে তিস্তা ও দুধকুমর নদসহ সবগুলো নদনদীর পানি বাড়লেও তিস্তা ও দুধকুমর নদের পানি সামান্য কমেছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুধকুমর নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়াও ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে ও শিমুলবাড়ি পয়েন্টে এবং ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী, নুনখাওয়া ও হাতিয়া পয়েন্টে নতুন করে পানি বাড়লেও বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হয়।
এতে নদ নদীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে বিভিন্ন ফসল নদীতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার চর ও দ্বীপচর এলাকায় কাচা সড়কে পানি ওঠায় কলার গাছের ভেলায় ওঠে পারাপার হতে হচ্ছে অনেককেই। সাময়িককভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন ঘটেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চলতি বন্যায় তিস্তা, দুধকুমর ও ধরলাসহ নদীর চর ও দ্বীপচরে বেশ কিছু জমির রোপা আমন, শাকসবজিসহ নানা ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১ হাজার ২শত হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে পানি দ্রুত নেমে গেলে এসব ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম