গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা বাড়ানোর দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নতুন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর হুমকি সত্ত্বেও পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ওয়াশিংটন চাপের মুখে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের প্রায় দুই বছরের আগ্রাসনের পর জাতিসংঘের দুর্ভিক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায়, ১০টি অস্থায়ী সদস্য আগস্টের শেষের দিকে বর্তমান খসড়া প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু করে। পূর্ববর্তী একটি খসড়ায় প্রাথমিকভাবে সাহায্যের ক্ষেত্রে বাধা অপসারণের দাবি করা হয়েছিল।
পূর্ববর্তী ভেটোটি কাউন্সিলের অন্য ১৪ সদস্যের মধ্যে অস্বাভাবিক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। যারা গাজার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে চাপ দিতে তাদের স্পষ্ট অক্ষমতার জন্য ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করছে।
বৃহস্পতিবার ভোটের জন্য প্রস্তুত খসড়াটিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি পর্যালোচনা করেছে। তাতে সাহায্যের প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং সকল পক্ষ ‘গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির’ দাবি জানিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই একাধিকবার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সম্প্রতি জুন মাসে তারা তাদের মিত্র ইসরায়েলকে সমর্থন করার লক্ষ্যে ভেটো প্রয়োগ করে।
একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক এএফপিকে বলেছেন, সর্বশেষ প্রচেষ্টা হলো-মার্কিন ভেটোর হুমকির কাছে নতি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানানো।
তিনি আরো বলেন, ‘চেষ্টা না করাই যুক্তরাষ্ট্রের কাজকে খুব সহজ করে তুলবে। কারণ তাদেরকে এর ন্যায্যতা প্রমাণ করতে হবে না এবং কাউন্সিলের ১৪ সদস্য ও বিশ্ব জনসাধারণের মুখোমুখি হতে হবে না।’
ওই কূটনীতিক বলেন, ‘এটি মাঠে ফিলিস্তিনিদের খুব বেশি সাহায্য করবে না। কিন্তু অন্তত আমরা দেখাতে পারব যে আমরা চেষ্টা করছি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো, জাতিসংঘ-নির্ধারিত একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন তাদের স্বাধীন বিশ্লেষণ দিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘ধ্বংস’ করার উদ্দেশ্যে গাজায় ‘গণহত্যা’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিষয়টি আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক জাতিসংঘ শীর্ষ সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত