শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি সম্প্রতি ভারী বর্ষণ এবং সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, ঝিনাইগাতী, চতল, বনগাওসহ কয়েকটি স্থানে পানি প্রবেশ শুরু হয়। দুপুরের দিকে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে কমপক্ষে ১৫/২০ গ্রাম পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। ঢলের পানি উপজেলা শহরের প্রধান বাজার, বিভিন্ন অফিস ও বাড়িঘরে প্রবেশ করেছে, ফলে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে।
ঝিনাইগাতী শহরসহ ভাটি এলাকার অন্তত ২০টি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে গেছে। একই সঙ্গে অনেক মৎস্য খামার, পুকুর ও সবজি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবীর রাসেল, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন, ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
ইউএনও মো. আশরাফুল কবীর রাসেল জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। স্ব-স্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানি বন্দি মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে। পরবর্তীতে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান এবং ঢেউটিন প্রদান করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক