পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এলেমপুর গ্রামের মাত্র ২ কিলোমিটার রাস্তা। এর পুরো অংশ জুড়ে হাঁটু সমান কাদা। আর সেই কাদা মাড়িয়েই প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয় ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীদের।
অনেক সময় হোঁচট খেয়ে মাঝপথেই থেমে যায় তারা। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে অনেকেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়; রাস্তার কারণে পাশ্ববর্তী তিন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলেও রাস্তাটিতে এক টুকরো ইট পাথরের ছোঁয়া লাগেনি —এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানান, এলেমপুর ও কুমির মারা গ্রাম হচ্ছে কলাপাড়ার সবজীর প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত একটা ইটের কনাও এ রাস্তাটিতে পড়েনি। তারা বহু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানালেও কোন সুরাহা পাইনি।
৬৫ বছরের বৃদ্ধ ওই গ্রামে বাসিন্দা রশীদ মোল্লা বলেন, আমার দেখা চোখে কত মেম্বার চেয়ারম্যান গেল, কিন্তু কেউ রাস্তায় একটা ইটের কণাও দিল না।
নিজের বাচ্চার হাত ধরে স্কুল থেকে ফিরছিলেন এলেমপুরের আরেক বাসিন্দা আব্দুল বারেক। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘প্রতিদিন বাচ্চা দুইডারে ফরিদগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিয়া আই। আবার ছুটির পর নিয়া আই। আমাগো এই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নাই।’ তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানান।
ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, বর্ষা আসলেই তার স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যায়। আর যাবেই না কেন! ওই রাস্তা দিয়ে কেউ একবার গেলে আর যেতে চায় না। কারণ হাঁটু পর্যন্ত কাদা।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদেক বলেন, আমি এলজিইডির প্রকৌশলীকে বিষটি অবহিত করব। সে অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ