ক্রাইম সিন, ফরেনসিক, সাইবার ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট শক্তিশালী করতে নতুন করে ২ হাজার ৭৯৪ জনবল চেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বর্তমানে সিআইডির জনবল ৩ হাজার ১১০ জন। প্রস্তাবিত কাঠামো অনুমোদিত হলে সংস্থাটির জনবল প্রায় দ্বিগুণ হবে।
পুলিশ বাহিনীর পদসৃজন, পদবিলুপ্ত, যানবাহন ও তদন্তকেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে চার হাজার কনস্টেবল পদ বিলুপ্তের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।
এদিকে পুলিশ সদরদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোতে ১৮টি ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (গ্রেড-১০) পদ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সদরদপ্তরের জন্য ১১২টি পদ। পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইটের (পিআইএ) সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কারে ৯৩২টি পদ চেয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া নরসিংদীর রায়পুরা থানাকে বিভক্ত করে ‘রায়পুরা চরাঞ্চল’ থানা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনটি তদন্ত কেন্দ্র করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানাধীন ‘রামপুর বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্র’, মেহেরপুরের গাংনী থানাধীন ‘কসবা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র’ এবং গাংনী থানাধীন ‘হিন্দা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র’ করতে চায় পুলিশ।
পুলিশের প্রস্তাবে যানবাহনের ব্যাপারে বলা হয়, কসবা তদন্ত কেন্দ্রের জন্য ৭টি যানবাহন, হিন্দাতে ৭টি, রামপুর বাজার তদন্ত কেন্দ্রে ৬টি, পিআইএতে ৮৩০টি, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে দুই হাজার ৮৮০, সিআইডিতে ৭৬০টি ও রায়পুরা চরাঞ্চল নামে প্রস্তাবিত থানার জন্য ১৩টি যানবাহন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশের বরাবরই গাড়ির একটা সংকট ছিল। এর মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় অনেক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব দিকে বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে বেশ কিছু গাড়ি পেয়েছে পুলিশ।
সিএমপির উপকমিশনার (সদরদপ্তর) মুহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সিএমপিতে গাড়ির সংকট খুব বেশি। যে পরিমাণ থাকার কথা তা নেই। এদিকে সামনে নির্বাচনের আগে গাড়ির সংকট দূর করতে সদরদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অনেক গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র: সমকাল
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ