পারিবারিক কলহের জেরে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ তারালিয়া গ্রামে এক স্বামী তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) ভোররাতে জলির মিস্ত্রি বাড়িতে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত গৃহবধূ বিবি খালেদা (৩৫) বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী মো. কোরবান আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশায় টমটম চালক কোরবান আলী (মৃত. ছেরাজুল হকের ছেলে) প্রায় চার মাস কোরবানির ঈদের আগের দিন বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই স্ত্রী খালেদার সঙ্গে তার পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও কলহ শুরু হয়। সর্বশেষ শুক্রবার ভোররাতে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কোরবান আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়রা জানান, ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির উঠানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় তাদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিল। প্রতিবেশীরা খালেদাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফেনী জেনারেল হাসপাতাল হয়ে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতের জা বিজলি আক্তার জানান, ‘ভোরে হঠাৎ চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি খালেদা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। কোরবান আলী তখন পালিয়ে যায়।’
এদিকে, আহতের ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এ ঘটনায় ফুলগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোরবান আলী নিয়মিতভাবে স্ত্রী ও সন্তানদের গালিগালাজ ও মারধর করতেন। সর্বশেষ তিনি হত্যার উদ্দেশ্যেই স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেন। এমনকি সন্তানদেরও হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত কোরবান আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ