প্রিয় পাঠক যখন এ লেখাটি পড়ছেন, ততক্ষণে হয়তো বিগত দিনের নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়বে। অতীতে নির্বাচনের নামে এ দেশে কী হয়েছে এবং তার বিপরীতে নির্বাচন কমিশনাররা কী বলে গেছেন, তা দেশ-বিদেশের সবার জানা। তাই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের পদত্যাগ ও পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে। অল্প দিনের ব্যবধানে যে দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং তাদের মূল সহচরদের দুর্নীতি ও প্রতিষ্ঠানের বেহাল দশা পৃথিবীর বুকে নিত্যনতুন নেতিবাচক খবরের জন্ম দেয়, সেই দেশে তাদের ক্ষমতায় বসানোর পথ করে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও তার সহকারীদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা বলা মুশকিল। বাকি সবাই ‘আমরা হুকুমের গোলাম ছিলাম’ বলে হয়তো পার পাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু যে নির্বাচন কমিশন বরাবর ‘আমরা স্বাধীন, আমাদের ওপর কারও কোনো চাপ নেই’ বলে এসেছেন, তারা কাকে দোষ দেবেন? কেন তারা এরকম প্রহসনের নির্বাচন দেওয়ার আগে পদত্যাগ না করে এখন পদত্যাগ করছেন, সেই প্রশ্নটি নিশ্চয়ই ঘুরে-ফিরে আসবে। ভবিষ্যতে সাংবিধানিক পদে সার্কাসের একেকটি জোকার বসানো রোধকল্পে নিশ্চয়ই এবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি নির্বাচন কমিশন একজন নাগরিক বা একটি ভোটের জন্য কী করতে পারে, তার উদাহরণ আমাদের পাশের দেশ ভারতে রয়েছে। মাত্র চার মাস আগে অর্থাৎ এ বছর ৭ মে তারিখে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সময় গুজরাটের বানিজ নামক ঘন জঙ্গলে ঘেরা একটি এলাকায় অবস্থিত মন্দিরের পাশে স্থাপিত হয়েছিল একটি ভোট কেন্দ্র। গুজরাট থেকে বাসযোগে এবং উঁচু উঁচু বন-জঙ্গল পেরিয়ে নির্বাচনি কর্মকর্তা, প্রশাসনিক বহর ও নিরাপত্তা কর্মীরা দুই দিনের মাথায় মন্দিরে পৌঁছে এবং পরদিন সেখানে ভোটের আয়োজন করে। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, সেখানে ভোটার সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। মহন্ত হরিদাস উদাসীন নামক মন্দিরের এক সন্ন্যাসীর একটি মাত্র ভোট গ্রহণের জন্য এ আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কেন? কী প্রয়োজন ছিল? নির্বাচন কমিশনের সাফ জবাব- তাদের নীতি ‘এভরি ভোট কাউন্টস’ অর্থাৎ প্রতিটি ভোট মূল্যবান। এ ছাড়াও কোনো ভোটারকে যেন ভোট দিতে ২ কিলোমিটারের বেশি হাঁটতে না হয় তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন পরিচালনার বহর এই নিভৃত বনে এমন ভোটের আয়োজন করে। এ ছাড়াও জীবনবাজি রেখে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আজাদ নামক দ্বীপে ভোট কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছিল মাত্র ৪০ জন ভোটারের জন্য। তীব্র শীত উপেক্ষা করে হিমাচল প্রদেশের লাহাউল স্পিটি জেলায় ১৫ হাজার ২৫৬ ফুট উচ্চতায় ৬২ জনের ভোট গ্রহণের জন্য স্থাপিত হয়েছিল তাসিগাঙ ভোট কেন্দ্র। হিমালয় পর্বতমালার অন্তর্গত এই পাহাড়ি এলাকার প্রায় পুরোটাই ছিল বরফ আচ্ছাদিত। তারপরও বহু কষ্টে নির্বাচনি কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছে ভোটের আয়োজন করতে পেরে সন্তুষ্ট চিত্তে জানান, ‘এটা আমাদের কর্তব্য ও সম্মান’। অন্য নির্বাচনি কর্মকর্তা এত উঁচুতে অক্সিজেনের অভাবকে মোকাবিলা করে ভোটের আয়োজন প্রসঙ্গে বলেন, যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, নাগরিক মাত্রই দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র তাঁকে ও তাঁর ভোটকে কতটা সম্মানের চোখে দেখে, তার এই বহিঃপ্রকাশ এমন আয়োজন। হায়রে আমাদের নির্বাচন কমিশন। বিশ্বজুড়ে তারাও আলোচিত আর আপনারাও!
আসলে নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচন নিয়ে নয়, লিখতে চেয়েছিলাম রাষ্ট্রের কাছে একজন নাগরিকের জীবনের মূল্য এবং দেশের কাছে প্রবাসীদের প্রত্যাশা নিয়ে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগসংক্রান্ত অতি সাম্প্রতিক খবর মনে করিয়ে দিল ওপরে লেখা ঘটনাগুলো। এত জীবন বলি, এত রক্তবন্যা, এত হতাহত, এত লুটপাট, এত পালানোর ঘটনার পর যদি কারও বোধোদয় হয়, তাদের পদত্যাগ করা উচিত, তবে বলতেই হয় ‘...হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ কর নি’। মূলত আমিও ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ত্রিপুরার নির্বাচনব্যবস্থা দেখে এসেছি। মোদি ও রাহুল গান্ধীর নির্বাচনি সভা ও শোভাযাত্রা দেখেছি। পূর্ব তিমুর ও অস্ট্রেলিয়ায়ও নির্বাচন দেখেছি। নির্বাচনের নামে এমন প্রহসন কোথাও দেখিনি। প্রবাসে ছিলাম এক যুগের বেশি সময়। প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে গবেষণা করেছি। এখনো বিদেশে থাকেন বহু আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব। নিয়মিতই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তাদেরই একজন সম্প্রীতি ফোন করে তার কন্যাকে স্থানীয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নেওয়া ও চিকিৎসা গ্রহণের কথা জানালেন। দেশের বিগত কয়েকদিনের পৈশাচিক কার্যকলাপের ভিডিওচিত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে মেয়েটি। বিশেষত্ব তারই বয়সি দুই বোনের মুখে তাদের একমাত্র ছোট ভাইয়ের করুণ মৃত্যুর বর্ণনা সংবলিত একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে দেখে ও শুনে তা সহজে মানতে পারছে না এই উঠতি বয়সি মেয়ে। আমাকেও একাধিকবার চোখ মুছতে হয়েছে একেকটি ভিডিও দেখে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিগত বিপ্লবের সময় চোখ ভেজেনি এমন সুস্থ মানুষের সংখ্যা হয়তো হাতেগোনা। এ কথা সত্য, এমন শত সহস্র করুণ ভিডিও এবং অন্য তথ্যের মাধ্যমে জনসম্মুখে যা আসছে, তাও সার্বিক চিত্র নয়। হয়তো জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের তদন্ত শেষে আরও কিছু নির্ভরযোগ্য খবর পাব আমরা।
কী দুর্ভাগ্য আমাদের! এই দেশে প্রধানমন্ত্রী তাঁর পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে পলাতক। প্রধান বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ বিচারপতিরা সবাই পলাতক। বিগত সংসদের প্রায় সব সংসদ সদস্য পলাতক। সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান পলাতক। এমনকি দেশের সবচেয়ে বড় ও জাতীয় মসজিদের খতিব পলাতক! দুই সাবেক পুলিশপ্রধান গ্রেপ্তার অবস্থায় আছেন। পালাতে গিয়ে আহত শামসুদ্দিন মানিকের মতো বিচারক। নিহত হয়েছেন ইসহাক আলী খান পান্নার মতো রাজনীতিবিদ। পদত্যাগ করেছেন প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও তাঁর সিনিয়র সহকর্মীরা, পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক, শিল্পাঙ্গনের নটরাজ, ক্রীড়াঙ্গনের ক্রীড়নক, ব্যাংকের পরিচালকবর্গ, সরকারি আইন কর্মকর্তার বিরাট বহরসহ আরও অনেকে। প্রশ্ন উঠেছে দেশটা তাহলে এত দিন কাদের হাতে ছিল? বিচারালয়, শিক্ষাঙ্গন, ক্রীড়াঙ্গন, শিল্পালয় এমনকি ধর্মশালাপ্রধানের নীতি-নৈতিকতা যদি এমন স্তরে নেমে যায়, তাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়, তবে নাগরিকের জীবন আর প্রবাসীদের কপালে দুঃখ ছাড়া আর কী আশা করা যায়।
সাম্প্রতিক বিপ্লবের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৭ জন বাংলাদেশি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। স্থানীয় আইনে এমন বিক্ষোভ করে তারা আইন ভঙ্গ করেছেন। দূতাবাস কর্মকর্তারা যদি ভাবতে পারতেন, এই ৫৭ জন শ্রমিকেরই কোনো আপনজন হয়তো দেশে আহত, নিহত বা গুম হয়েছেন, তবে তাদের এই অনুভূতির বহিঃপ্রকাশকে তারা নানা কৌশলে সামাল ও সান্ত্বনা দিতে পারতেন। কিন্তু উল্টোটা করে তারা আমাদের জাতিগত দৈন্যতারই যেন বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। আর ঘটাবেন না কেন? সরকারপ্রধান নিজেই যখন বলেন, তারা সে দেশের আইন ভঙ্গ করেছে, সুতরাং তাদের সাজা পেতেই হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। তখন দূতাবাসের কর্মকর্তারা যে পিছু হটবেন না, এটাই স্বাভাবিক। ধন্যবাদ একজন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর যোগ্য সহচরদের, যারা ৫৭ জন নাগরিককে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। বিপ্লবকালে সম্মানিত প্রবাসীদের অবদানের কথা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্মরণ করেছেন। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন প্রবাসীসহ সব বিমান-যাত্রী। নানা কারণে সমাজের সবখানে কাক্সিক্ষত শৃঙ্খলা ও স্বস্তি হয়তো আসেনি। তবু মানুষ নিজ বুকভরে নিঃশ্বাস নিয়ে নিরাপদে বেঁচে থাকার ও অবাধে মতপ্রকাশের অধিকার উপভোগ করছে, এটাই-বা কম কী?
নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম শেষও করতে চাই সে প্রসঙ্গ দিয়ে। দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের পলাতকদের তালিকা করলে দেখা যাবে, দেশের প্রায় সর্বত্র বহুমুখী সংস্কার এখন সময়ের দাবি। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো নির্বাচন কমিশন সংস্কার।
২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন কারণে এ নির্বাচন নানাবিধ বিতর্কের জন্ম দেয়। ফলে এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল বিরোধী ডেমোক্র্যাট পার্টি। গোলযোগের কারণে তখন ৩৭৫টি নির্বাচনি এলাকার ৬৯টিতেই ভোট প্রদান বন্ধ থাকে। একপর্যায়ে আদালত এ নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করেন। এমনই এক প্রেক্ষাপটে থাইল্যান্ডের একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক লিখেছিলেন, ‘নির্বাচনে যদি দুর্নীতি হয়, তবে নির্বাচনের নির্ভর গণতন্ত্র হয় প্রতারণা’। এ কথা মনে রেখে যারা কারও চাপে আত্মসমর্পণের বদলে প্রয়োজনে পদ ছেড়ে দেওয়ার মতো হিম্মত রাখেন, কেবল তাদেরই স্থান হোক নির্বাচন কমিশনের পবিত্র অঙ্গনে। একজন নির্বাচন কমিশনারও একজন ভোটার এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদানের সাংবিধানিক অধিকার তাদেরও রয়েছে। তবে দায়িত্ব পালনের সময় নিজ পছন্দের দলের না হয়ে রাষ্ট্র ও নাগরিকদের প্রতি সুবিচার করাই একজন নির্বাচন কমিশনারসহ সব সরকারি মহলের কাছ থেকে প্রত্যাশিত। যারা কদিন আগেও কার অবর্তমানে দেশের কী হবে, কে চলে গেলে দেশের সব রসাতলে যাবে, কে কার বিকল্প হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, কোন দলে দেশ চালানোর মতো কেইবা আছেন- এমন প্রশ্নের জালে খেই হারাতেন, তারা ঠিকই জানতেন এ দেশে একজন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো বহু প্রাজ্ঞ ব্যক্তি আছেন, আরও আছেন মাঝ বয়সি নিঃস্বার্থ ও সাহসী শিক্ষক এবং সমাজসেবী, যারা লবিস্ট নিয়োগ নয়, নিজ কর্মগুণে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। আরও আছে উদীয়মান ও প্রতিভাদীপ্ত তরুণ সমাজ। কিন্তু রাজনীতির দুষ্টচক্র আর তথাকথিত মিডিয়া কখনো তাদের দিকে নজর দিতে দেয়নি এই জাতিকে। দেশ যখন তাদের খুঁজে পেয়েছে, তখন তাদের ধাতস্থ হতে সময় দিতে হবে। একটি মহল দাবিদাওয়ার নামে যে ছদ্মাবরণে প্রতি বিপ্লব ঘটাতে চাচ্ছে, তা আর বোঝার বাকি নেই।
অতএব, তারুণ্যের জোয়ারে সব অন্যায় ভেসে যাওয়ার এই মহতী ক্ষণে আসুন সজাগ থাকি, সরকারকে সহায়তা করি, তরুণদের উৎসাহ দিই, তাদের উপযুক্ত স্থানে বসার সুযোগ করে দিই। নিশ্চয়ই সবার আন্তরিকতা, সততা ও বিচক্ষণতা কেবল নির্বাচন কমিশনই নয়, গোটা নির্বাচনব্যবস্থা, সমাজ ও গণতন্ত্রের দৃশ্যপট বদলে দেবে। তখন একটি ভোটের জন্য রাষ্ট্রীয় সেবকরা ঠিকই জীবনবাজি রাখবেন।
৫৭ জন প্রবাসী ফিরে এলেও মনে রাখতে হবে ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বেইমানি করা মীরজাফরের প্রেতাত্মারা কিন্তু কখনো ফিরে যায় না। ঠিকই তারা ঘাপটি মেরে বসে থাকে আর সুযোগ পেলেই পিলখানায় কর্মরত ৫৭ জন বিডিআর কর্মকর্তার মতো দেশের সূর্যসন্তানদের মৃত্যু ঘটাতেও পিছপা হয় না। নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে ৫৭ দিনও হয়নি। এরই মধ্যে ৫৭০ সাবান দিয়ে সরকার সব ধুয়েমুছে সাফ করে দেবে, এমন আশা করা ঠিক নয়। দেয়ালে দেয়ালে আজ ৫ আগস্টের পরিবর্তে ‘৩৬ই জুলাই’ লিখে তরুণ সমাজ বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা নতুন কিছু ভাবে, নতুন কিছু করতে চায়, বাক্সবন্দি চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। দেশ স্বাধীন হয়েছে তাও ৫৭ বছর হতে বেশি দেরি নেই। আমাদের রাজনীতিবিদরা কী করার ক্ষমতা রাখেন, তা সব দলের আমলে যথেষ্ট প্রমাণ করেছি। আসুন না দেখি, তরুণরা এবার কী করে।
♦ লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট
email : [email protected]