দেশে বেকারত্বের হার উদ্বেগজনক। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতায় বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ বা নাজুক পরিস্থিতির শিকার হওয়ায় কর্মহীনের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে ১০০ জন স্নাতকের ৪৭ জনই বেকার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের তিন বছর পরও কর্মহীন ২৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে এ বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ লাখ। চিত্রটা ভয়াবহ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর বাইরেও দেশে প্রচ্ছন্ন বেকারের সংখ্যা কয়েক কোটি। আইএলওর সংজ্ঞার মানদণ্ডে চালানো বিভিন্ন জরিপে বেকারত্বের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে না। ওই সংজ্ঞায় যিনি হাতখরচ জোটাতে টিউশনির পাশাপাশি চাকরি খুঁজছেন, তিনি বেকার নন। যিনি সপ্তাহে অন্তত এক ঘণ্টাও পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজের সুযোগ পান তিনিও বেকার নন। এঁদের হিসাবে ধরলে বেকারের সংখ্যা স্বভাবতই কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। বিবিএসের তথ্য- এ বছর এপ্রিল-জুন সময়ে দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা মোটাদাগে সোয়া ৭ কোটি। এর মধ্যে কাজে নিযুক্ত প্রায় ৭ কোটি। সাড়ে ২৬ লাখ বেকার। শ্রমশক্তির বাইরে ৫ কোটি মানুষ, যাঁরা বেকারও নন, কোনো কাজে নিয়োজিতও নন। ছাত্র, বয়স্ক, অসুস্থ, অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত এবং অনিচ্ছুক গৃহিণীরা আছেন এই শ্রেণিতে। আইএলওর যে সংজ্ঞায় বিবিএস বেকারের সংখ্যা গুনছে- তাতে দেশে বেকারই খুঁজে পাওয়া যাবে না। সংজ্ঞার মারপ্যাঁচে দেশে বেকারের সংখ্যা নিয়ে যে পরিসংখ্যানই বের হোক, তাতে জাতির বিশেষ ক্ষতি-বৃদ্ধি নেই। প্রয়োজন ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি। সে জন্য ব্যবসাবাণিজ্য, শিল্পকারখানা, ব্যাংক-বিমা, অফিস-আদালত- সব কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষার বিকল্প নেই। সরকারের সব শূন্য পদ দ্রুত পূরণের ব্যবস্থা চাই। সেখানে প্রক্রিয়াকরণের দীর্ঘমেয়াদি গদাইলশকরি চাল, লালফিতার দৌরাত্ম্য আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হোক। বেসরকারি খাতকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, প্রণোদনা ও নিরাপত্তা দিয়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ করে দিতে হবে। বিশ্বের শ্রমবাজারে জনশক্তি পাঠানোর বিষয়টি স্বল্প সময়ে, সহজ, সুলভ, নিরাপদ ও প্রতারণামুক্ত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এটা তাদের শক্ত হাতে করতে হবে। পাশাপাশি পছন্দের কাজ না পাওয়া ছদ্ম বেকারদেরও উদ্বুদ্ধকরণ প্রয়োজন যে, একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরিই জীবনে সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়। স্বকর্মসংস্থানও অত্যন্ত মর্যাদার। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’। ছোট-বড় যে কোনো ব্যবসাই ব্যক্তিকে স্বাধীনতা ও সাফল্যের মোক্ষম সোনার চাবি হাতে তুলে দিতে পারে, তার অসংখ্য নজির রয়েছে বিশ্বজুড়ে। জড়তা, সংকোচ ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে দেশের যুবকদেরও সে পথে হাঁটতে হবে। সব পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার সমন্বয়ে জাতি মুক্ত হবে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে। এই বোধোদয় হোক সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের।
শিরোনাম
- ফুয়াদের সুরে কনার গান
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তারেক রহমানের
- ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
- কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি
- কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল
- যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!
- চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান
- পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল
- হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ
- জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল
- হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
- আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
- প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
- সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
- সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- অনিশ্চয়তার ছায়ায় টালমাটাল অর্থনীতি
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
- স্বর্ণের দাম কমেছে