গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বুধবার গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র বানিয়েছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ। জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করার সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সারা দিন দফায় দফায় হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস শেল, সংঘর্ষ, গুলি, প্রাণহানির ঘটনায় গোপালগঞ্জ আতঙ্কের শহরে পরিণত হয়। হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে চার ব্যক্তি প্রাণ হারান। গুলিবিদ্ধসহ আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্যরাও রয়েছেন। সেখানে বুধবার রাত থেকে ২২ ঘণ্টা কারফিউ জারি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়। ইউএনওর গাড়ি, জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও কারাগারে ভাঙচুর করে। বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার মুখেই ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা মিছিল করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে শহরের পৌর পার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশমঞ্চে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এ পরিস্থিতির মধ্যে এনসিপি নেতারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পুলিশি নিরাপত্তায় মাদারীপুর যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে আবার হামলার শিকার হন। একপর্যায়ে তারা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে পরে সেনা পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়েন। সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে এনসিপির শীর্ষনেতাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা চিহ্নিত। তারা নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মী-সমর্থক। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এনসিপির পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। এ ঘটনায় সারা দেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এনসিপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও সমাবেশ কর্মসূচিতে বিনা প্ররোচনায় সন্ত্রাসী হামলা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তাদের এই সহিংস ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া মৌলিক অধিকারের নির্লজ্জ লঙ্ঘন। হামলাকারী অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে, গোপালগঞ্জ সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। এ সময় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে সংশ্লিষ্টদের। আসন্ন নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে কাউকেই কোথাও অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না। কঠোর হস্তে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিরোধ ও দমন করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে গণতন্ত্রের পথযাত্রায় আবারও হোঁচট খাবে দেশ। কাক্সিক্ষত নির্বাচন হবে সুদূরপরাহত। তা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না। অন্তর্বর্তী সরকার বেকায়দায় পড়ুক দেশবাসী তা দেখতে চায় না। সুতরাং শক্ত হাতে দমন করতে হবে রাজনৈতিক দুষ্কৃতিদের।
শিরোনাম
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
- যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
- বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
- ইমামদের নিয়োগ ও বরখাস্ত সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী হতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর পথে প্রধান অন্তরায় : ডা. জাহিদ
- গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় মা-বাবা ও ছেলেসহ নিহত ৪
- চট্টগ্রামে প্রতীকী ম্যারাথন
- কলাপাড়ায় লেক থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- গণঅভ্যুত্থান দিবসে শরীয়তপুরে প্রতীকী ম্যারাথন
- বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
- ‘স্বৈরাচার উৎখাতে জুলাই যোদ্ধাদের প্রচেষ্টা ছিল শেষ না হওয়া ম্যারাথনের মতো’
- মিথ্যা মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধের আহ্বান বিএনপির
- চোরাই পথে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করলে জনগণ মেনে নেবে না : ডা. জাহিদ
- গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
- সব ষড়যন্ত্রকে আমরা রুখে দেব : ফারুক
- চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
- স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
- দিল্লির ২০ স্কুলে বোমা হামলার হুমকি