ভয়াবহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে জনগণের প্রতিটি দিন। আতঙ্কের রাত। বিভীষিকার জনপদে পরিণত হয়েছে সারা দেশ, যা জনপ্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত। এ বছর প্রথম ছয় মাসে ধারাবাহিকভাবে খুনের ঘটনা বেড়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, নারী নির্যাতন, পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও। গত ১০ মাসে দেশে খুন হয়েছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। ধর্ষণের শিকার শিশু-কিশোরীসহ ৪ সহস্রাধিক নারী। অপহরণের ঘটনা ৮০০-এরও বেশি। সোমবার এসব তথ্য জানা গেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের দেওয়া খোদ পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে অপরাধ বেড়েছে, যাতে নাগরিকদের মধ্যে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হচ্ছে। অপরাধ-খুন বাড়ছে। কিন্তু প্রেস উইং এ দাবি, এ পরিসংখ্যান পুরোপুরি মানতে নারাজ। বরং তারা বলেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ১০ মাসে বড় ধরনের অপরাধপ্রবণতা ‘স্থিতিশীল’। এ সাফাই বিস্ময়কর। প্রশ্ন হচ্ছে, ক্রমবর্ধমান খুন-ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, হামলা-লুটপাট, অপহরণ-দস্যুতায় জনমনে ভীতি সঞ্চার হচ্ছে, নাকি গণমাধ্যমে সেসব প্রকাশ-প্রচারের কারণে হচ্ছে? গণমাধ্যম তো অপরাধ সংঘটিত করে না। তুলে ধরাই তাদের কর্তব্য এবং তারা তা করছে। প্রেস উইং কি প্রত্যাশা করে যে, সাবেক স্বৈরশাসনামলে অনেক সংবাদমাধ্যমের মতো অপরাধ-দুর্নীতি, দুরাচার-দুবর্ৃৃত্তায়নের সংবাদ এড়িয়ে যাক গণমাধ্যম? নিশ্চয়ই তা তারা প্রত্যাশা করে না। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পর, দেড় হাজার শহীদের রক্তস্রোতে অর্জিত ‘নতুন বাংলাদেশ’ কারও এ ধরনের বয়ান কামনা করে না। সহ্যও করবে না। কারণ তা জুলাইয়ের চেতনার পরিপন্থি। রাজধানীতে দিনদুপুরে ব্যবসায়ী যুবককে পিটিয়ে, ভারী পাথরখণ্ড দিয়ে মুহুর্মুহু আঘাত করে আদিম বর্বরতায় খুন করা হলো। ঢিল ছোড়ার দূরত্বে ছিল আনসার ক্যাম্প। রাস্তায় পুলিশ আছে। বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে সেনা টহল জারি রয়েছে। তার মধ্যে এমন নৈরাজ্য, অরাজকতা, মব সন্ত্রাস শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়, সরকারের সক্ষমতার ঘাটতি নির্দেশ করে। একে যদি ‘তুলনামূলক অপরাধপ্রবণতার স্থিতিশীলতার চিত্র’ বলে বার্তা দেওয়া হয়-এক বাক্যে তা অগ্রহণযোগ্য এবং দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক। প্রকৃত বাস্তবতা উদ্বেগজনক। আত্মরক্ষার জন্য এখন নাগরিকদেরই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা জরুরি। পাড়া-মহল্লা, গ্রাম-শহরে দলবদ্ধ প্রহরায় প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলা যেতে পারে। কিন্তু সে তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করবে। ফলে ঘুরে দাঁড়াতে হবে পুলিশ বাহিনীকে। প্রয়োজনে সেনা টহল আরও বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিন। জনগণের জানমাল-সম্ভ্রম রক্ষা সরকারের অবশ্য কর্তব্য। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে এ ক্ষেত্রে ‘ব্যর্থতা’ জাতিকে চরমভাবে আশাহত করবে।
শিরোনাম
- সিদ্ধার্থ–কিয়ারার ঘরে এলো কন্যাসন্তান
- নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রীর
- চান্দিনার সাবেক মেয়র গ্রেফতার
- ড্রেনে পড়ে শিশুর মৃত্যু, ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার মরদেহ
- বনানীতে পথশিশু ধর্ষণ : মূল অভিযুক্ত পরিবহন হেলপার গ্রেফতার
- দুর্যোগের সময় ভুল তথ্য ঠেকাতে টিকটকের নতুন টুল
- মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চা করা উচিত: ধর্ম উপদেষ্টা
- দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার
- ৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
- সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
- দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
- চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
- ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
- শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
- ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
- নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
- জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
- বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
- মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
- নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক