ভারতের ওডিশায় ২২ বছর বয়সী এক কলেজ ছাত্রী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন, তিন দিন পর্যন্ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর গতকাল রাতে তার মৃত্যু হয়। খবর এনডিটিভির।
গত তিনদিন ধরে তাকে একাধিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভুবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বালাসোরের ফকির মোহন স্বায়ত্তশাসিত কলেজের বিএড প্রোগ্রামে ভর্তি ছিলেন। তিনি ১ জুলাই কলেজের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সমীর কুমার সাহুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন।
কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটিকে পাঠানো এক চিঠিতে মাসের পর মাস ধরে অধ্যাপকের নির্যাতন ও হুমকির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। কিন্তু ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শেষে ১২ জুলাই কলেজ কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে তিনি কলেজ প্রাঙ্গণেই নিজের গায়ে আগুন দেন। এতে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে গতরাতে তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ