জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে কাল ১৭ জুলাই তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জন, চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য এবং দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে তাঁকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
১০ জুলাই চিঠি দিয়ে জি এম কাদেরকে তলবের বিষয়টি গতকাল জানিয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাপার সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি মনোনয়নে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করা হয়। এই অর্থ গ্রহণের মূল সুবিধাভোগী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় প্রফেসর মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী নামে এক নেতাকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং তাঁর স্থলে জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের এমপি হন।
দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, জি এম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাপার চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন, যা পরে বিদেশে পাচার করা হয়। জাপার কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পদবাণিজ্যের প্রমাণ। জি এম কাদেরের নামে নগদ ৪৯.৮৮ লাখ টাকা, ব্যাংকে ৩৫.৯৫ লাখ টাকা এবং ৮৪.৯৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপগাড়ি রয়েছে। তাঁর স্ত্রী শেরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯.৫৯ লাখ টাকা, ব্যাংকে ২৮.০৯ লাখ টাকা এবং ৮০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপগাড়ি রয়েছে। তিনি দেশে-বিদেশে (সিঙ্গাপুর, লন্ডন, সিডনি) নামে-বেনামে সম্পদ পাচার করেছেন।