বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ওমানে চাকরি-ব্যবসা হারান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২০০ বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বিচারসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন ওমানফেরত প্রবাসীরা। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘জোরপূর্বক প্রত্যাগত ওমান প্রবাসী ফোরাম’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ওমানফেরত প্রবাসীদের চার দফা দাবি হলো ওমান থেকে জোরপূর্বক বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর অন্যতম কারিগর ওমানে আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি জসিন উদ্দীন, বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলামসহ অন্য ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার; বিগত সরকারের আমলে মাসকাট দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতসহ ফ্যাসিবাদের দোসর ও অত্যাচারী কর্মকর্তাদের বিচার; রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার ওমানফেরত প্রবাসীদের চাকরি ও ব্যবসা ফিরিয়ে দেওয়া এবং মাবেলার ব্যবসায়ী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও বুরাইমির ব্যবসায়ী আজিজুর রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন রহিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী প্রবাসীরা বলেন, ‘বিগত সরকারের রোষানলে পড়ে হাইকমিশনের চক্রান্তে আমাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমরা যদি ওমানের কোনো আইন লঙ্ঘন করি তাহলে যৌক্তিক ছিল, কিন্তু আমরা কিছু করিনি। আমরা আওয়ামী লীগ করিনি, বিরোধী দলমত করার কারণে কালো তালিকাভুক্ত করে আমাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়।
ওমানে বাংলাদেশের দূতাবাস এখনো স্বৈরাচারের দোসর। আমরা ক্ষতিপূরণ চাই, এসব কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানাই।’