পপি
পপি ২০২০ সাল থেকেই আড়ালে রয়েছেন। বিয়ে করে নাকি সংসারি হয়েছেন এ অভিনেত্রী। তিনি আর অভিনয়ও করবেন না বলেও গুঞ্জন উঠেছে।
এ নিয়ে বারবার খবরের শিরোনাম হলেও মুখ খোলেননি তিনি। সিনেমাপাড়ার গুঞ্জন, পপি আর অভিনয়ে ফিরবেন না। তিনি সংসার নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চাচ্ছেন। সেখানেই সময় দিচ্ছেন। এ জন্য এখন কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। ২০২০ সালের মার্চে পপির বিয়ের গুঞ্জনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। তবে আড়াল হওয়ার অনেক আগে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পপি বলেছিলেন, সংসারি হলে অভিনয়কে বিদায় জানাবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বুঝি তাই সত্যি হলো। কিন্তু বিয়ের গুঞ্জনের বিষয়ে পপি এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। এ ছাড়া পপির ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি এখনো বন্ধ রয়েছে। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় পপির।
শাবনাজ
১৯৯১ সালে প্রখ্যাত নির্মাতা এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবির নায়িকা হয়ে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক শাবনাজের। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত টানা ২৬টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর বেশির ভাগ ছবিই ছিল প্রেমের গল্পের। মনে মনে বৈচিত্র্যময় গল্পের খোঁজে ছিলেন তিনি। কিন্তু শিল্পীর মন কেউ বোঝেনি। তাই আর পুনরাবৃত্তি না করে নিজেকে সরিয়ে নিতে থাকেন। শাবনাজ বললেন, ‘একঘেয়ে গল্প। সবই প্রেমের। আমি শুধু নায়িকা হয়ে থাকতে চাইনি, শিল্পী হতে চেয়েছিলাম। তাই বৈচিত্র্যময় গল্প খুঁজছিলাম। পাইনি। একটা সময় সরে আসি।’ ১৯৯৪ সালে নায়ক নাঈমকে বিয়ে করেন। অভিনয় ছেড়ে সংসারে মনোযোগ দেন শাবনাজ। ২০০৫ সালে দীর্ঘ বিরতির পর আবার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অনুরোধ আসে শাবনাজের কাছে। বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এ টি এম শামসুজ্জামানের অনুরোধ উপেক্ষা করেননি তিনি। কাজ করেছিলেন আজিজুর রহমানের ‘ডাক্তার বাড়ি’ ছবিতে। তারপর আর কোথাও দেখা যায়নি তাঁকে।
শবনম
দীর্ঘ এক যুগ ধরে কেন অভিনয় করছেন না এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম। ২০২২ সালে শিল্পী সমিতির এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সে কথাই জানালেন তিনি। শবনম বলেন, ‘আম্মাজান সিনেমায় অভিনয় করার পর আমি আর কাজ করিনি। ইচ্ছা থাকলেও মনমতো ও মানসম্মত চিত্রনাট্য না পাওয়ায় আর সিনেমা করা হয়নি। শারীরিক অসুস্থতাও বড় একটা কারণ।’ শেষমেশ তাঁকে বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল ১৯৯৯ সালে। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় আম্মাজান চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৫৯ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা এহতেশামের ‘এ দেশ তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে আসেন তিনি। এরপর ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ও পশ্চিম পাকিস্তানের সিনেমায় টানা অভিনয় করে গেছেন শবনম।
শাবানা
কী কারণে অভিনয় ছেড়েছিলেন- এ প্রসঙ্গে শাবানা বলেন, ‘শৈশবে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত হই। নিজেকে দেওয়ার মতো সময় পাইনি। কাজ, কাজ আর কাজ। এভাবেই কেটেছে টানা ৪০ বছর। পরিবার ও সন্তানদের সময় দেওয়ার ব্যাপারটি একটা সময় জরুরি হয়ে পড়ে। তাদের দেশের বাইরে পড়াশোনার বিষয়ও ছিল, তাই সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিনয়টা ছাড়তে হয়েছে।’ ষাট দশকের শুরুতে ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শাবানার। ১৯৬৭ সালে পরিচালক এহতেশামের উর্দু সিনেমা ‘চকোরী’ দিয়ে নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় আগমন। চার দশকে শাবানা অভিনীত ছবির সংখ্যা ৫০০-এর মতো। তিনি একজন চলচ্চিত্র প্রযোজকও ছিলেন। শাবানা অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’।
ববিতা
অভিনয় ছাড়া প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, ‘আগে যে সম্মানটা পেয়েছি সেই সম্মান নিয়েই বাঁচতে চাই। অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও লোকে আমাকে ঠিকই ভালোবাসে। এখন আমার পাওয়ার কিছু নেই বরং হারানোর আছে। আমি যে সম্মান পেয়েছি তা এখন মানহীন সিনেমায় যুক্ত হয়ে হারাব কেন? তিন শরও বেশি সিনেমায় তো অভিনয় করেছি, এখন খামাখা বদনাম নিয়ে লাভ নেই।’ ২০১৫ সালে সর্বশেষ ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় তাঁর। চলতি দশকের শুরু থেকেই অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘সংসার’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটে। পরের বছর নায়িকা হিসেবে ‘শেষ পর্যন্ত’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ তাঁর।