শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়াকে হত্যার চেষ্টা করছে সরকার : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে বেআইনিভাবে জেলে আটকে রেখে হত্যা করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার দেখা করে আসা পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারা জানিয়েছেন দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। তার বাম হাত ও বাম পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে। অসহ্য ব্যথা অনুভব করছেন তিনি। বেগম জিয়া বলেছেন, কারাগারে তার কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না।’

গতকাল সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ  হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মাসুদ অরুণ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো অসুস্থ নাগরিককে সুস্থ না হলে বিচারকাজ চালানো যায় না। এটা সম্পূর্ণ অমানবিক ও সংবিধান পরিপন্থী। বিএনপি চেয়ারপারসনকে রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই ষড়যন্ত্র করছে সরকার। একতরফা নির্বাচনে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করার নীলনকশা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার এতটাই নিচে নেমে গেছে যে, একজন মারাত্মক অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ চিকিৎসা পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। গণবিরোধী সরকার নিশ্চিত হয়েছে যে, খালেদা জিয়া মুক্ত হলে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। আগামী নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের লজ্জাজনক পরাজয় হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া যেন নির্বাচনে নেতৃত্ব দিতে না পারেন এবং জনগণের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারেন এজন্য তার চিকিৎসা সেবা না দিয়ে বেআইনিভাবে সাজা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। আইন বহির্ভূতভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা এই মামলা উচ্চতর আদালত জামিন দেওয়ার পরও তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি চেয়ারপারসনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। তা না হলে তার দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যরা কারাগারে গিয়েছিলেন। তারা বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করে এসে যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে আমরা উদ্বিগ্ন।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছি, তাকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরাও বলেছেন, তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ। অবিলম্বে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি তার জীবন রক্ষার জন্য। এখন যে অবস্থায় তিনি আছেন তাতে তার জীবন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তিনি এই অবস্থায় কতদিন বেঁচে থাকতে পারবেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।’

সর্বশেষ খবর