এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রক্ষণ, বাছাই ও বিলি ব্যবস্থাপনায় অবহেলা ও গাফিলতির জন্য ‘কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না’ মর্মে বুধবার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মাকে কারণ দর্শাও নোটিস দিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) রেজাউল করিম। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় শত শত শিক্ষার্থীর জন্য বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত কয়েক হাজার প্রশ্নপত্র সেটের প্যাকেট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এসব প্যাকেট থেকে প্রশ্ন শর্টিং এবং যাচাই-বাছাই করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন প্রতিবেদন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় ভূরুঙ্গামারী ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মাকে শোকজ (কারণ দর্শানোর চিঠি) করেছেন জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম। তাঁকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, শোকজ নোটিসের জবাব পেলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম বলেন, বরখাস্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবদুর রহমান বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে আজ (শুক্রবার) দুপুরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে এ কর্মকর্তার। তিনি আরও জানান, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের তিন সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে আজ (শুক্রবার) বিকালে ফেরত গেছে। প্রশ্নপত্র শর্টিংয়ের দায়িত্বের ব্যাপারে তিনি বলেন, এক বা দুই দিনে একজন মানুষের পক্ষে কয়েক হাজার প্রশ্নের প্যাকেট যাচাই-বাছাই করা অসম্ভব। এজন্য ভূরুঙ্গামারীর ছয়টি পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য কমপক্ষে ছয়জনকে কয়েকদিন সময় দিয়ে দায়িত্ব দিলে নির্ভুলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারতেন। প্রশ্নফাঁসের দায় সংশ্লিষ্ট কেউই এড়াতে পারেন না।
