শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

অগ্নিসন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অগ্নিসন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই বিএনপি আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত- তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই। গতকাল গণভবনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এটি আমরা করে যাব। আমাদের উন্নয়নের কথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য আমরা যে পরিকল্পনাগুলো নিয়েছি সেটিও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিএনপির আমলে তারা লুটপাট, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, খুন রাহাজানিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা না করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয়  অর্জনকারী বাংলাদেশকে তারা বিশ্বের কাছে ভিখারি দেশে পরিণত করেছিল। হাত পেতে চলার দেশে পরিণত করেছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশকে আমরা তুলে এনে আজ আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র করেছি। যে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের মানুষ সম্মানের চোখে দেখে। আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় সম্মেলন সাদামাটাভাবে করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করতে হবে। কতগুলো উপ-কমিটি করতে হবে। যেহেতু বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা যাচ্ছে। তাই এবারের সম্মেলন আমরা কোনো শান-শওকত করে করব না। খুব সীমিত আকারে, অল্প খরচে, সাদাসিধাভাবে করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। যে জন্য বিএনপি আজ স্বাধীনভাবে মিটিং-মিছিল করতে পারছে। সব আসামি অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। যারা রেল, বাস, সিএনজি, লঞ্চ প্রতিটি জায়গায় আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, আমি জানি তারা অনেকে লুকিয়ে ছিল। এখন বিএনপি মাঠে নেমেছে। তারাও মাঠে নামবে। এসব আসামিকে ধরতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কারণ তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। জীবন্ত মানুষ হত্যা করেছে। চোখ-হাত কেটেছে, নির্যাতন করেছে। তাদের ছাড় নেই। আইন তার আপন গতিতে চলবে। আইন সবার জন্য সমান। এটি তাদের মাথায় রাখতে হবে। রাজনীতি করবে রাজনীতি হিসেবে। কিন্তু সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী রাজনীতি এ দেশে চলবে না। এটা আমরা চলতে দেব না। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের পুরনো সংগঠন। এই সংগঠন আরও শক্তিশালী হোক। মানুষের জন্য কাজ করে, তাদের হƒদয় জয় করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। জনগণের ভোটে এসেছি। জনগণের আস্থা নিয়ে এসেছি। ১৪ বছর আমরা এ দেশের মানুষের আস্থা-বিশ্বাস ধরে রেখেছি। আওয়ামী লীগ আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটা আমাদের মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। যারা সন্ত্রাসী খুনি, ১০ ট্রাক অস্ত্র, গ্রেনেড হামলাকারী, বোমা হামলাকারী- এদের দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না। এদের পাশেও কোনো দিন থাকবে না। এদের ভোটও দেবে না। এটাই হলো বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। বৈঠকে জাতীয় সম্মেলন ছাড়াও সারা দেশের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা, মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও কৌশল নির্ধারণসহ একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ খবর