সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অফিসে গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বৈঠক শেষে ‘বিএনপি কি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটাই হোক সমঝোতা হবে। বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে মেঘ, ঘন মেঘ ঘনীভূত হয়।
আবার চট করে চলে যায়। আমি চিরন্তন আশাবাদী মানুষ। ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। দল ও সরকারের পক্ষ থেকে বলতে চাই- আমরা সরকারে আছি। আমরা কেন অশান্তি চাইব? আমরা কেন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়- এমন কাজ করব। দরকার তো নেই। এখন যদি আতঙ্ক সৃষ্টি বা উসকানি দেওয়া হয় বা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে আমরা কি চুপ করে বসে থাকব? আশা করছি, বিরোধী দল শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে। দলীয়ভাবে আমরা তাদের সঙ্গে কখনো সংঘাত সৃষ্টি করিনি। আমরা সংঘাত চাই না। ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন- আজকে (গতকাল) সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন। তার পরও অনেক বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে রোড কানেকটিভিটি প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রণয় কুমার ভার্মা বলেছেন, তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। তাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। সমস্যা হলো তিস্তা নিয়ে রাজ্য সরকারের অনুমতি। এটি তাদের নলেজে আছে। তাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের নির্বাচন ও বিরোধী দলের সাম্প্রতিক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
পাড়া-মহল্লায় সতর্ক পাহারা দেওয়ার নির্দেশ : আগামী ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপি যেন কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে সে জন্য আজ বুধবার থেকে সব পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সতর্ক পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল দুপুরে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রস্তুত হয়ে যান। আগামীকাল (আজ) থেকে সব পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলায় সব জায়গায় সতর্ক পাহারা বসবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ডাকে মহাসমাবেশ হয় সমাবেশ। আর আওয়ামী লীগের সমাবেশের ডাকে মহাসমাবেশ হয়। এটাই হলো বাস্তবতা। আজকে তারুণ্যের সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এদিকে গতকাল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর প্রবেশমুখে প্রতিটি জায়গায় পাহারা বসাবে ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় বিশেষ পাহারা থাকবে। বিএনপি-জামায়াত যেন কোনো ধরনের নৈরাজ্য করতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকবে। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সাংগঠনিকভাবে মোকাবিলা করার পাশাপাশি নাশকতাকারীদের আইনের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটির নেতা-কর্মীদের।